ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে সৃষ্ট বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাসে নীলফামারীতে পাকা আমন ধানগাছ নুয়ে পড়েছে। আর অল্প কিছুদিন পরেই এসব ধান কেটে ঘরে তোলার কথা। কিন্তু ঘরে তোলার সময় ধানগাছ নুয়ে পড়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা।
তবে কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, ধানগাছ নুয়ে পড়লেও এতে তেমন কোনো ক্ষতির আশঙ্কা নেই।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঝোড়ো বাতাস ও বৃষ্টির প্রভাবে অনেক জায়গায় ধানগাছ মাটিতে নুয়ে পড়েছে। এর মধ্যে পাকা আমন ধানগাছও রয়েছে। এছাড়া যেসব গাছে এখনও ধান আসেনি সেগুলো কেটে গরু-ছাগলের খাবার হিসেবে ব্যবহার করতে দেখা গেছে অনেককে।
নীলফামারীর টুপামারি এলাকার কৃষক আমিনুর রহমান বলেন, ‘দু’দিনের বৃষ্টিতে এলাকায় অনেকের ধানগাছ মাটিতে শুয়ে পড়েছে। আমার বাড়ির পাশে এবং বাড়ি থেকে একটু দূরে মোট দুই বিঘা জমির ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে। রাজশাহী স্বর্ণ ধানের বীজ লাগিয়েছিলাম। এই ধানের বীজগুলো অন্যান্য ধানগাছের চেয়ে লম্বা হয়েছিলো তাই এগুলো বাতাসে পড়ে গেছে।’
ডিমলা মধ্যম সুন্দরখাতা এলাকার কৃষক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ঝোড়ো হাওয়ার কারণে আমাদের গ্রামের প্রায় ২৫ বিঘা জমির ধান নুয়ে পড়েছে। এ নিয়ে এলাকার কৃষকেরা বেশ চিন্তিত। এখনো পর্যন্ত কৃষি অফিস থেকে কেউ নির্দেশনামূলক কিছু জানায়নি।’
ডোমার সদর ইউনিয়নের কৃষক ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ‘আমার দেড় বিঘা জমির ধান মাটিতে শুয়ে পড়েছে। আমাদের এলাকায় ঝোড়ো বৃষ্টির কারণে ৩০ বিঘার মতো জমির ধান মাটিতে শুয়ে পড়েছে। এর মধ্যে যেগুলো ধান গাছে শীষ হয়েছে সেগুলো থোকা করে বেঁধে দাঁড় করিয়ে দিলে ধানগুলো পাকার পর্যায়ে যেতে পারে। আর শুয়ে পড়া যেগুলো ধান গাছে ধান বের হয়নি এসব গাছে আর ধান হবার সম্ভাবনা নেই, এগুলো কেটে গরু ছাগলকে খাওয়াতে হবে।’
নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক ড. এস. এম. আবু বকর সাইফুল ইসলাম জানান, জমির ধান হেলে পড়ার বিষয়ে আমরাও খোজ নিচ্ছি। তবে তার পরিমাণ এখনও নিরূপণ করা হয়নি। ঝড়ের কারণে জমির ধান হেলে পড়লেও সেটি উঠে যাবে। এতে ধানের ফলনে তেমন প্রভাব পড়বে না। বিগত কয়েক বছরের চেয়ে এবারের ফলন অনেক ভালো হবার সম্ভবনা দেখছি।’