রঙিন কপিতে কৃষকের হাসি

, কৃষি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর | 2025-01-20 14:54:51

ক্ষেতে শোভা পাচ্ছে বাহারী রঙের কপি। পাশ দিয়ে চলাচলকারী পথচারীরা দাঁড়িয়ে দেখছেন সৌন্দর্য। এসব কপি দেখতে যেমন সুন্দর, খেতেও তেমনি সুস্বাদু ও উচ্চমান পুষ্টি সমৃদ্ধ। রঙিন এই মৌসুমি সবজি চাষ করে এলাকায় বেশ পরিচিতি লাভ করেছেন কৃষক জামাল উদ্দিন।

কৃষক জামাল উদ্দিনের বাড়ি লক্ষ্মিপুর জেলার সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমনসা গ্রামে। দীর্ঘসময় ধরে মৌসুমি সবজি চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছেন তিনি। তার ২০ শতাংশ জমিতে এবার প্রায় দেড় লাখ টাকার কপি উৎপাদন হয়েছে। ব্যতিক্রম রঙিন ফুলকপি চাষে সফল হওয়ায় তার দেখাদেখি প্রতিবেশী কৃষকরাও এখন এমন কপি চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।

জামাল উদ্দিন জানান, তিনি বাড়ির পাশেই ২০ শতাংশ জমিতে সাদা, গোলাপি, হলুদ ফুলকপি ও লাল বাঁধাকপি (রেড কেবল) চাষ করেন। উৎপাদন আশানুরূপ হওয়ায় তার মুখে হাসি ফুটেছে। রঙিন কপির দাম বেশি পাওয়ায় তিনি লাভবান হবেন বলে আশা করছেন। জমিতে চাষসহ ফসল উৎপাদন তার খরচ পড়েছে প্রায় ৭০ হাজার টাকা। তার উৎপাদিত কপি প্রায় দেড় লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। লাল বাঁধাকপি-রুবি কিং জাতের কপি উৎপাদনে জৈব সার ও জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া পোকা থেকে রক্ষায় হলুদ ফাঁদ ও সেক্স ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন করা হয়।

জামাল উদ্দিন বলেন, এ অঞ্চলে আমি একাই রঙিন কপি চাষ করেছি। এখন অনেকেই এসে আমার কাছে এ কপি চাষের বিষয়ে জানতে চাচ্ছে। বাজারে কপির ভালো চাহিদা রয়েছে। খেতেও সুস্বাদু। বাজারে এ কপি সবার নজর কাড়ে। এছাড়া আমার বাগানটি একটি এনজিও সংস্থা প্রদর্শনী হিসেবে ব্যবহার করছে।

প্রতিবেশী আক্তার উজ জামান জানান, চরমনসা এলাকায় একজন কৃষক রঙিন কপি চাষ করছেন। এ কপিগুলো সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। এজন্য ক্ষেত থেকেই কপি কিনতে এসেছি। দাম বেশি হলেও বাজারে এ কপির চাহিদা রয়েছে।

কৃষক মো.ইব্রাহিম বলেন, জামাল নতুন করে হলুদ, গোলাপি রঙের ফুলকপি ও লাল রঙের বাঁধাকপি চাষ করেছেন। ভালোই উৎপাদন হয়েছে। সাদা কপির দাম বাজারে এখন খুবই কম। কিন্তু রঙিন কপির দাম এখনো অনেকে বেশি। প্রতিকেজি রঙিন ফুল কপি এখন ১৫০ টাকা ও রঙিন বাঁধা কপি ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আগামীতে আমিও চাষ করবো।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসান ইমাম বলেন, পরীক্ষামূলক অবস্থায় একজন কৃষক রঙিন কপি আবাদ করেছেন। তিনি ভালো বাজারমূল্য ভালো পাচ্ছেন। রঙিন কপিগুলো পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। এ নিয়ে আমরা কৃষকদেরকে প্রশিক্ষিত করে তুলছি। আমরা প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছি এবং কৃষকদেরকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি, যেন পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ রঙিন কপি উৎপাদনে আগ্রহী হয়। তাদেরকে অনুপ্রাণিত করছি যেন রঙিন কপিগুলো চাষ করে। এতে কৃষক অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে।

Related News