জুলাই অভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সামনে প্রথম চ্যালেঞ্জ হয়ে আসে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনা-সমালোচনা হয় ডিমের মূল্য নিয়ে। পণ্যটির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি ডজনে বেড়েছিলো প্রায় ৩০-৩৫ টাকা পর্যন্ত। তবে সরকারের কঠোর হস্তক্ষেপ ও আমদানির খবরে কমেছে দাম।
সরেজমিনে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) শেওড়াপাড়া, কচুক্ষেত ও কাওরান বাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া যায়। এসময় ডজন প্রতি ১৫-২০ টাকা কমিয়ে ১৫৫-১৬০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।
এদিন কাওরান বাজারের ডিম বিক্রেতা আশরাফুল আলম বলেন, ডিমের দাম গতকাল থেকে কমেছে। এখন আমরা প্রতি ডজন ডিম ১৫৫-১৬০ টাকা বিক্রি করছি।
আমদানির কারণে ডিমের দাম কমেছে কি না জানতে চাইলে এই বিক্রেতা বলেন, কিসের আমদানির কারণে কমবে? যে দুই লাখ ডিম আমদানি করছে এইগুলো তো একদিনে কাওরান বাজারেই হয় না। তাহলে আমদানির কারণে কিভাবে কমবে?
তাহলে কমছে কেন জানতে চাইলে আশরাফুল আলম বলেন, সেইটা বলতে পারি না। এইটা জানতে চাইলে বড় ব্যবসায়ী যারা আছে তাদের জিজ্ঞেস করেন।
আশরাফুল আলমের পাশেই আরেক ডিম বিক্রেতা বলেন, গতকাল থেকে ডিমের দাম কিছুটা কমেছে। আমি সাদা ডিম বিক্রি করছি ১৫৫ টাকায় ডজন আর লাল ডিম ১৬০ টাকা ডজন।
কাওরান বাজারে এক হোটেলে কাজ করেন আব্দুস সালাম। এখন কাজ শেষে বাসায় ফিরার পথে আসছিলেন ডিম নিতে। এসময় দুই ডজন ডিম ১৫৫ টাকা করে বললেও ডিম বিক্রেতা এক দাম ১৬০ টাকা বলে দেন। পরে বাধ্য হয়ে ১৬০ টাকা ডজনেই দুই ডজন ডিম নেন তিনি।
আব্দুস সালাম বার্তা২৪.কম কে বলেন, কোন কথা নেই, কিছু নেই হঠাৎ করে দেখি ডিমের লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে গেছে। সরকার ১২ টাকার কথা বললেও কেউ মানে নাই। এখন যখনই শুনছে ইন্ডিয়া থেকে ডিম আমদানি করবো দাম কলে গেলো। খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ে সরকার কে কঠোর হওয়া দরকার। যেই দাম বাড়াবে, তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
উল্লেখ্য, সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে গত ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর আগে ডিমের দাম ছিলো ডজন প্রতি ৮০-১১০ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু যুদ্ধ শুরু হলে মুরগির খাদ্য দাম বাড়ায় ডিমের দাম ১২৫-১৩৫ টাকা হয়। গত বছরের শেষ সময়ে থেকে গত দুই সপ্তাহ আগে পর্যন্ত যা ছিলো ডজন প্রতি ১৫০-১৬৫ টাকা।