এক্সিলারেটকে উন্মুক্ত দরপত্রে অংশ নেওয়ার আহ্বান

, অর্থনীতি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-10-16 21:12:13

মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জিকে মহেশখালীতে ভাসমান এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) টার্মিনাল-৩ নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে পেট্রোবাংলা। এ জন্য কোম্পানিটিকে উন্মুক্ত দরপত্রে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

ওই ভাসমান টার্মিনাল স্থাপনের জন্য বিশেষ বিধান আইনে সামিট গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। অন্তবর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর চুক্তিটি বাতিল করে দিয়েছেন। এক্সিলারেট এনার্জি মহেশখালীতে বর্তমানে একটি ভাসমান টার্মিনাল পরিচালনা করে আসছে। কোম্পানিটি পায়রাতে আরেকটি ভাসমান টার্মিনাল করতে যাচ্ছিল। ওই টার্মিনালের বিষয়েও বিশেষ বিধান আইনের আওতায় চুক্তির প্রক্রিয়া শুরু করেছিল আওয়ামী লীগ। প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে পেট্রোবাংলার অনুস্বাক্ষরিত খসড়া ২০২৩ সালে নীতিগত অনুমোদন দেয় অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। চুড়ান্ত চুক্তির অপেক্ষায় থাকা ওই ভাসমান এলএনজি টার্মিনালও বিশেষ আইনে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।

বুধবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পেট্রোসেন্টারে এক্সিলারেট এনার্জির উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে উন্মুক্ত দরপত্রে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয় বলে বৈঠক সুত্র জানিয়েছে।

ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের পাশাপাশি স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি সরবরাহের উন্মুক্ত দরপত্রে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি সরবরাহের জন্য পেট্রোবাংলার তালিকাভুক্ত ২৩টি কোম্পানি রয়েছে। সেখানে নতুন করে তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। পেট্রোবাংলার এসব প্রস্তাবে আগ্রহ দেখিয়েছে এক্সিলারেট, পাশাপাশি তারা দেশের জ্বালানিখাতে আরও কিভাবে বিনিয়োগ বাড়ানো যায় সেই বিষয়ে আলোচনা করেছে বলে বৈঠক সুত্র জানিয়েছে।

এক্সিলারেটের সঙ্গে ওই বৈঠকে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মাইনস) প্রকৌশলী কামরুজ্জামান খান, পরিচালক (প্রোডাকশন শেয়ারিং কন্ট্রাক্ট) প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম, এক্সিলারেট এনার্জির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান স্টিভেন কোবোস, এক্সিলারেট এনার্জির স্ট্র্যাটেজিক উপদেষ্টা ও সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস ও কোম্পানিটির বাংলাদেশের আবাসিক ব্যবস্থাপক হাবিব ভূঁইয়া অংশ নেন।

এক্সিলারেট এনার্জি প্রতিনিধিদলটি অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ১৫ অক্টোবর সাক্ষাৎ করেন।

বর্তমানে মহেশখালীতে এক্সিলারেট এনার্জির একটি টার্মিনাল পরিচালনা করছে। ওই টার্মিনালের মাধ্যমে দৈনিক ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করছে। পেট্রোবাংলার সঙ্গে ২০১৬ সালের ১৮ জুলাই এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ২০১৮ সালের ১৯ আগস্ট থেকে তারা গ্যাস সরবরাহ চুক্তি স্বাক্ষর করে। পেট্রোবাংলার সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির ১৫ বছর মেয়াদী গ্যাস চুক্তি রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদে এলএনজি সরবরাহের জন্য গত বছরের নভেম্বরে পেট্রোবাংলার সঙ্গে চুক্তি সই করে এক্সিলারেট এনার্জি। চুক্তি অনুযায়ী, এক্সিলারেট এনার্জির সহযোগী প্রতিষ্ঠান এক্সিলারেট গ্যাস মার্কেটিংয়ের কাছ থেকে ১৫ বছর মেয়াদে ০.৮৫ হতে এক এমটিপিএ এলএনজি আমদানির করবে সরকার। এক্সিলারেট ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে গ্যাস সরবরাহ করার কথা রয়েছে।

Related News