চিত্রনায়ক নিরবের সংসারে ভাঙনের গুঞ্জন উঠেছিল। বলা হচ্ছিল, পরকীয়ার জেরেই নাকি ১১ বছরের সংসারে বিচ্ছেদের ছায়া গ্রাস করেছে। তবে এমন খবর সত্য নয় জানিয়েছেন নিরবের স্ত্রী কাসফিয়া তাহের চৌধুরী ঋদ্ধি। একটি ফেসবুক স্ট্যাট্যাস দিয়ে সংসার ভাঙনের খবরটি ভিত্তিহীন বলে জানালেন ঋদ্ধি।
গেল ভোর রাতে নিরবের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ এনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরপর দুটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন ঋদ্ধি। প্রথম স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, বউ-বাচ্চা ফেলে সাথে কীভাবে দেশের বাইরে গিয়ে এক্সের সঙ্গে আবার যোগাযোগ করে আমি কিছুক্ষণ পর আপলোড করব! যদি আমার আর আমার বাচ্চার লাইফ আনস্ট্যাবল হয়, কোনো পরকীয়া করা কাপলকে আমি ভালো মানুষের মুখোশ পরে থাকতে দেব না।
পরের স্ট্যাটাসে ঋদ্ধি লিখেছেন, নিরব হোসেন আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ আমার মতো মুটিয়ে যাওয়া কদাকার স্ত্রীকে দীর্ঘসময় সহ্য করার জন্য। আমাকে অবশ্য আপনার কখনই পছন্দ ছিল না। তাই আপনার ভালোবাসার মানুষও আমি বিগত ১১ বছরে একদিনের জন্যও ছিলাম না! কিন্তু আপনি আমার সব ছিলেন। দাঁতে দাঁত চেপে অনেক সুন্দরী নারীকে হারানোর কষ্ট নিজের বুকে চেপে দয়াদাক্ষিণ্য করে আমার সাথে থাকার জন্য। অ্যাডজাস্ট করে আপ্রাণ চেষ্টা করার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ।
তবে বুধবার দুপুরে ঋদ্ধি নতুন করে আরেকটি পোস্ট দিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেন। সেই পোস্টে তিনি বলেন, গতকাল রাতে আমার প্রথম স্ট্যাটাসের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। সে (নিরব) প্রকৃতপক্ষে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেননি। তার প্রাক্তন একজন তাকে মেসেজ করেছিল, এটি ছিল একতরফা যোগাযোগ। আমি সেই মূহুর্তে স্ট্যাটাসটি দিয়েছিলাম। এই যোগাযোগের জন্য সে দায়ী ছিলেন না। তাই পরকীয়ার কোনো ঘটনা এখানে নেই। আমার বিনীত অনুরোধ করছি, দয়া করে উক্ত বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে কোন সংবাদ প্রকাশ করবেন না।
২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন নিরব-ঋদ্ধি। তবে এ বিয়ে তখন মেনে নেননি নিরবের শ্বশুর। কারণ ১০ মাসের প্রেম শেষে একরকম পালিয়েই বিয়ে করেছিলেন তারা। পরে নিরবের নামে অপহরণ মামলা করেন ঋদ্ধির বাবা। বাধ্য হয়ে টানা ১৫ দিন পালিয়ে থাকতে হয় এ দম্পতিকে। এরপর হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে তবেই প্রকাশ্যে আসেন নিরব-ঋদ্ধি। আগামী ২৬ ডিসেম্বর তাদের সংসারের ১১ বছর পূর্তি হতে চলেছে। তাদের সংসারে রয়েছে দুই কন্যা সন্তান।