দক্ষিণ কোরিয়া সীমান্তে নতুন ধরনের অস্ত্র বসিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এর যন্ত্রণায় দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্ত এলাকার লোকজন কাজ করতে পারছেন না, ঘুমাতে পারছেন না এবং বাড়িতে থাকাও তাদের জন্য কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্ত বরাবর শব্দ উৎপাদনকারী একধরনের যন্ত্র বসিয়ে তা দিয়ে অনবরত শব্দ ছড়িয়ে দিচ্ছে উত্তর কোরিয়া।
রোববার (১৭ নভেম্বর) ভারতের টেলিভিশন চ্যানেল এনডিটিভি এ বিষয়ে একটি খবর প্রকাশ করেছে।
খবরে বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তের দিকে মুখ করে একধরনের শব্দ উৎপাদনকারী যন্ত্র বসিয়ে তা দিয়ে অনবরত শব্দ উৎপাদন করে চলেছে উত্তর কোরিয়া।
এতে সীমান্ত সংলগ্ন গ্রামবাসী কোনো কাজই করতে পারছেন না। ঘরে-বাড়িতে অবস্থান করতে পারছেন না। এমনকী তারা রাতে ঘুমাতেও পারছেন না একনাগাড়ে তৈরি করা শব্দে।
দক্ষিণ কোরিয়ার গ্রামবাসী এর নাম দিয়েছেন- ‘শব্দবোমা’।
এ বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকার এক নারী বলেন, এ ঘটনা ভীষণরকম যন্ত্রণার হয়ে দাঁড়িয়েছে! আপনি এর জন্য ঘুমাতে পারবেন না! এ যেন শেল ছাড়া বোমা হামলা!
খবরে বলা হচ্ছে, চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্ত বরাবর লাউড স্পিকার বসিয়ে উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সিতে দিনরাত একনাগাড়ে শব্দ উৎপাদন করে গ্রামবাসীদের জীবনকে অতীষ্ঠ করে তুলেছে উত্তর কোরিয়া।
এই লাউড স্পিকারে কখনো মেটালিক, কখনো ভারী অস্ত্রের শব্দ বা কখনো ভালুকের ডাকের মতো শব্দ উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সিতে বাজানো চলছেই।
এর মাধ্যমে সীমান্তবর্তী গ্রামবাসী মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কেউ কেউ নিদ্রাহীনতায় ভুগছেন। কারো কারো সবসময় মাথায় যন্ত্রণা করছে।
এ বিষয়ে খবরে বলা হয়, এ ঘটনার কারণে দুই কোরিয়ার মধ্যে উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করেছে।
এ বিষয়ে উত্তর কোরিয়ার এক বিশেষজ্ঞ কাং ডঙ্গ-ওয়ান বলেন, উত্তর কোরিয়া জানে কীভাবে প্রোপাগান্ডা চালাতে হয়। কারণ, দক্ষিণ কোরিয়া দেশটির টেলিভিশন ও বেতারে অনবরত প্রোপাগান্ডা ও লিফলেট ছড়িয়ে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়িয়েই যাচ্ছে।