গত সপ্তাহে হিজবুল্লাহর সাথে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তবে এর মাঝেই ইসরায়েল লেবাননে পৃথক হামলায় রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা কর্মীসহ ১১ জনকে হত্যা করেছে। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে জানায়, সোমবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে অন্তত দুজন নিহত হন। জবাবে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলি সামরিক অবস্থানের বিরুদ্ধে সতর্কতামূলক গুলি ছোঁড়ে। এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইসরায়েল কয়েকটি জায়গায় বিমান হামলা চালায়। এতে অন্তত ৯ লেবানিজ নিহত হন।
হিজবুল্লাহ সোমবার বলেছে, তারা কাফার চৌবা পাহাড়ে একটি ইসরায়েলি সামরিক ঘাঁটিতে আক্রমণ করে যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে প্রাথমিক প্রতিরক্ষামূলক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। কাফার চৌবা এলাকাটি মূলত একটি বিতর্কিত এলাকা যা লেবানন নিজেদের বলে দাবি করে থাকে।
এছাড়া গত বুধবার কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনে করে ইসরায়েল লেবানন জুড়ে বিমান হামলা, দক্ষিণে বেসামরিক লোকদের ওপর গুলি চালানো এবং রাজধানী বৈরুত সহ লেবাননের আকাশসীমায় ড্রোন ও জেট বিমান চালাচ্ছে বলে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে।
এদিকে, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে কড়া জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাটজ বলেন, হিজবুল্লাহর এই সতর্কীকরণ গুলির পাল্টা জবাব কঠোরভাবে দেওয়া হবে।
অন্যদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখবে যুক্তরাষ্ট্র।