কাজাখস্তানের আকতাউ শহরের কাছে ৬৭ জন যাত্রী নিয়ে একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের অন্তত ৪০ জন যাত্রীর মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, উড়োজাহাজটি আকতাউ শহরের কাছে জরুরি অবতরণের চেষ্টার সময় আগুন ধরে যায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, উড়োজাহাজটি কখনও উপরের দিকে উঠছিল, পর মুহূর্তেই আবার ঝপ করে নেমে যাচ্ছিল। এভাবে ওঠানামার মধ্যেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গোত্তা খেয়ে আছড়ে পড়ে প্লেন। সঙ্গে সঙ্গে ধরে যায় আগুন।
মাটিতে আছড়ে পড়ার আগে বেশ কয়েক মিনিট আকাশে ‘বিভ্রান্ত’ হয়ে উড়োজাহাজটিকে ঘুরপাক খেতে দেখা গেছে ওই ভিডিওতে। জরুরি ভিত্তিতে অবতরণ করতে না-পেরে বিমানবন্দর থেকে কিছুটা দূরে আকাশে ক্রমাগত চক্কর কাটছিল উড়োজাহাজটি। অন্তত তিন মিনিট ‘বিভ্রান্ত’ হয়ে ঘোরার পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গোত্তা খেয়ে একটি খোলা জায়গায় আছড়ে পড়ে যাত্রীবাহী এই উড়োজাহাজ । মুহূর্তে তাতে আগুন ধরে যায়।
আজারবাইজান এয়ারলাইনসের ইআরজে-১৯০ প্লেনটির গন্তব্য ছিল রাশিয়া। স্থানীয় সময় ভোর ৩টা ৫৫ মিনিটে বাকু থেকে রাশিয়ার চেচনিয়া প্রদেশের গ্রজনির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। প্লেনটিতে ৬৭ জনের বেশি যাত্রী ছিলেন। কাজাখস্তানের আকতাউ কাসপিয়ান সাগরের পূর্ব উপকূলে আচমকা উড়োজাহাজটি ভেঙে পড়ে। ঘন কুয়াশার কারণে সেটির পথ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কাজাখস্তানের বিমানবন্দরে তার জরুরি অবতরণ করার কথা ছিল। কিন্তু অবতরণের আগে উড়োজাহাজটি নিয়ন্ত্রণ হারায়।
রাশিয়ার একটি সংবাদমাধ্যমের দাবি, একঝাঁক পাখির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে উড়োজাহাজটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। তবে এখনও কারণ নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, উড়োজাহাজটি টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছে। বেশির ভাগ যাত্রীরই মৃত্যু হয়েছে বলে রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ওড়ার কিছু পড়েই পাখির ঝাঁকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে উড়োজাহাজটির। তারপরই পাইলট আপৎকালীন অবতরণের জন্য অনুমতি চান। কিন্তু অবতরণের আগেই সেটি ভেঙে পড়ে।