যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগে কর্মরত এক ডজনের বেশি আইনজীবীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার কয়েকদিন পরই এসব কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করে ট্রাম্প প্রশাসন। বরখাস্ত সকল আইনজীবী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে করা দুটি ফৌজদারি মামলার তদন্তকাজে যুক্ত ছিলেন।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিবিবির প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার (২৭ জানুয়ারি) তাৎক্ষণিকভাবে এসব আইনজীবীকে বরখাস্তের আদেশ কার্যকর হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয় ট্রাম্পের অপরাধ তদন্তে কাজ করা এক ডজনেরও বেশি কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে বিষয়টি বেশ কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে। বরখাস্তকৃত কর্মকর্তাদের কাছে ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল জেমস ম্যাকহেনরির পাঠানো একটি চিঠিতে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের এজেন্ডা- মেক আমেরিকা, গ্রেট এগেইন বাস্তবায়নের জন্য তাদেরকে সঠিক লোক মনে করা হচ্ছে না।
বরখাস্ত হওয়া আইনজীবীরা সাবেক বিশেষ আইনজীবী জ্যাক স্মিথের নেতৃত্বাধীন তদন্ত দলে যুক্ত ছিলেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে করা সরকারি গোপন নথি সরানো এবং ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল বদলে দেওয়ার চেষ্টাসংক্রান্ত ফৌজদারি দুটি মামলায় তদন্ত করেছিলেন তারা।
বিশেষ আইনজীবী পদে ২০২২ সালে জ্যাক স্মিথকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে করা দুটি ফৌজদারি মামলা তদন্তের ভার ছিল তার ওপর। ট্রাম্প শপথ নেওয়ার আগে হুমকি দিয়েছিলেন, ক্ষমতা নিয়ে ‘দুই সেকেন্ডের মধ্যে’ তিনি জ্যাক স্মিথকে পদ থেকে সরিয়ে দেবেন। পরে ট্রাম্পের শপথের আগেই জ্যাক পদ ছেড়ে দেন।
দুটি মামলাতেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ আনা হয়েছিল; যদিও ট্রাম্প কখনোই দোষ স্বীকার করেন নি।
গত বছরের নভেম্বরে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর মামলা দুটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। আইনজীবীরা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের বিধিবিধান ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনার অনুমতি দেয় না।
তবে ট্রাম্প প্রশাসন জ্যাক স্মিথের দলের কাকে কাকে বরখাস্ত করেন, সেটা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায় নি। তার দলের অনেক আইনজীবীর দুর্নীতি ও জাতীয় নিরাপত্তাসংক্রান্ত আইন নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তারা যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রেসিডেন্টের আমলে বিভিন্ন মামলায় যুক্ত ছিলেন।