চলতি বছরের হজ কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার জন্য শর্তসাপেক্ষে প্রাথমিকভাবে যোগ্য আরও ১০টি হজ এজেন্সির তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার।
বুধবার (২০ নভেম্বর) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় তাদের ওয়েবসাইটে অনুমোদিত এসব হজ এজেন্সির তালিকা প্রকাশ করে।
এই নিয়ে পাঁচ ধাপে মোট ৯৩৭টি হজ এজেন্সি হজ কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি পেলো।
এর আগে চলতি বছরের ২৯ আগস্ট ১৩৬টি, ১৯ সেপ্টেম্বর ৬২৯টি, ২৫ সেপ্টেম্বর ১২৬টি, ৫ নভেম্বর ৩৬টি হজ এজেন্সি অনুমোদন পায়।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া হজ এজেন্সি ২০২৫ সনের হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
যেসব এজেন্সির লাইসেন্স হালনাগাদ নেই, লাইসেন্সের মেয়াদ সেপ্টেম্বর, ২০২৪-এর মধ্যে অতিবাহিত হয়েছে, ঠিকানায় ভিন্নতা রয়েছে, অভিযোগে দন্ডপ্রাপ্ত, সৌদি আরবে কালো তালিকাভুক্ত এবং অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য প্রক্রিয়াধীন- সেসব এজেন্সির নাম তালিকায় (৫ম পর্যায়ে) অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
২০২৪ সালের হজ কার্যক্রমে মোট ২৫৯টি হজ এজেন্সি অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ২৩৪টি ছিলো লিড হজ এজেন্সি। যদিও ১ হাজার ৫৩৩টি হজ এজেন্সিকে অনুমোদন দিয়েছিল ধর্ম মন্ত্রণালয়।
অনুমোদিত হজ এজেন্সিগুলোকে হজে প্রেরণের জন্য প্রত্যেক হজযাত্রীর সঙ্গে এজেন্সির লিখিত চুক্তি সম্পাদন নিশ্চিত করতে হবে, এজেন্সিগুলো ২০২৫ সনে সৌদি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সংখ্যক হজযাত্রী প্রেরণ করতে পারবে, এসব এজেন্সি নির্ধারিত সংখ্যক হজ গাইড নিয়োগ করে হজ সিস্টেমে আপলোড করবে, অনিবন্ধিত কোনো ব্যক্তিকে হজযাত্রী হিসেবে হজে নিতে পারবে না।
মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তালিকা প্রকাশের পর কোনো এজেন্সির বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগের কারণে দন্ডিত হলে কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিত সংশ্লিষ্ট এজেন্সির নাম তালিকা থেকে বাতিল করা হবে, এজেন্সিগুলো হালনাগাদ হজ লাইসেন্স, ট্রাভেল লাইসেন্স এবং ট্রেড লাইসেন্স ও হালনাগাদ আয়কর সনদ দাখিলপূর্বক হজ অফিসের সঙ্গে চুক্তি করবে। স্বত্বাধিকারী/অংশীদার/পরিচালকদের মধ্য হতে এজেন্সির মোনাজ্জেম নির্ধারণ করতে হবে।
প্রকাশিত তালিকার কোনো এজেন্সি হজ ২০২৫ মৌসুমে যৌক্তিক কারণ ছাড়া হজযাত্রীর নিবন্ধন না করলে সেই এজেন্সির বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১ জুন পবিত্র হজ পালিত হওয়ার কথা। ২০২৫ সালের হজে বাংলাদেশ ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা পেয়েছে। আগামী ১৩ জানুয়ারি সৌদি সরকারের সঙ্গে হজ চুক্তি সম্পন্ন হবে।