কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া মাদরাসা ছাত্র আবুল হোসেন হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড ও দ ‘জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক ফাতেমা জাহান স্বর্ণা এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ফারুক পাকুন্দিয়া উপজেলার বারাবর গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছেন, একই এলাকার আব্দুল হাকিমের ছেলে মো. নুরুল ইসলাম ওরফে নুরু মেম্বার এবং সিরাজুদ্দিনের ছেলে মো. রিয়াজ উদ্দিন। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির প্রত্যেক ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায় আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাজহারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন শেখর চন্দ্র সরকার।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৮ সালের (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মোবাইল ফোন চার্জ করে দেয়ার কথা বলে পাকুন্দিয়া উপজেলার বারাবর গ্রামের সৌদি প্রবাসী মো. রেনু মিয়ার মাদরাসা পড়ুয়া ছেলে আবুল হোসেনকে (১৪) নিজের বাড়িতে নিয়ে যায় একই এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে মো. ফারুক। এরপর থেকে আবুল হোসেনের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। নিখোঁজের পর (০৫ সেপ্টেম্বর) আবুল হোসেনের মা পাকুন্দিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন। ২০০৮ সালের (১০ সেপ্টেম্বর) বাড়ির পাশের খামা শৈলমারী বিলের পানিতে বাঁশের খুঁটিতে গলা ও হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আবুল হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় একই দিন আবুল হোসেনের মা নাছিমা খাতুন বাদী হয়ে পাকুন্দিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ফারুকসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মোবাইল ফোন আত্মসাৎ করার জন্যই আবুল হোসেনকে হত্যা করে লাশ গুম করা হয় বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মো. ফারুক ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি রিয়াজউদ্দিন পলাতক রয়েছেন।