বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন-২০১০ এর দুই বিধান চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের শুনানি আগামী ১৪ নভেম্বর।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য ওই দিন ধার্য করেন।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট মোকাবিলার কথা বলে ২০১০ সালে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বিধান বৃদ্ধি (বিশেষ আইন) আইন’ প্রণয়ন করে সরকার। শুরুতে দুই বছরের জন্য আইনটি করা হলেও পরে ২০১২ সালে ২ বছর, ২০১৪ সালে ৪ বছর, ২০১৮ সালে ৩ বছর এবং সর্বশেষ ২০২১ সালে ৫ বছরের জন্য এর মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। আইনটির ৯ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, ‘এই আইনের অধীন কৃত বা কৃত বলিয়া বিবেচিত কোনো কার্য, গৃহীত কোনো ব্যবস্থা, প্রদত্ত কোনো আদেশ বা নির্দেশের বৈধতা সম্পর্কে কোনো আদালতের নিকট প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।’ সমালোচনার মুখে দফায় দফায় আইনটি নবায়ন করা হয় এবং এর অধীনে অনেকগুলো চুক্তি করা হয়।
ওই আইনের অধীন করা কাজ নিয়ে কোনো আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না এবং চুক্তি করার বিষয়ে মন্ত্রীর একক সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ওই বিধান দুটিতে উল্লেখ রয়েছে। আইনের ‘পরিকল্পনা বা প্রস্তাবের প্রচার’-সংক্রান্ত ৬(২) ধারা ও ‘আদালত ইত্যাদির এখতিয়ার রহিত করা’-সংক্রান্ত ৯ ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক ও মো. তায়্যিব-উল-ইসলাম রিটটি দাখিল করেন।
সংবিধানের নির্দেশনার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় ওই আইনের ৬(২) এবং ৯ ধারা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়। এই রুলের ওপর শুনানি শেষ হয়।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি ১৮ আগস্ট মন্ত্রণালয়ে প্রথম দিন অফিস এসেই ঘোষণা দেন, বিশেষ বিধান আইনে আর নতুন কোনো প্রকল্প নেওয়া হবে না। যে সব প্রকল্প চুক্তির প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, সেগুলো বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি বিশেষ বিধান আইনে সম্পাদিত চুক্তিগুলো যাচাই-বাছাই করতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।