হিন্দুদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে আওয়ামী লীগ: এরশাদ উল্লাহ

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম | 2024-10-06 20:52:11

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ বলেছেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি হচ্ছে বিভাজনের রাজনীতি। তারা সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরু বিভাজনের মাধ্যমে সব সময় দেশকে অস্থিতিশীল করে রাখার চেষ্টা করেছে। হিন্দুদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে আওয়ামী লীগ।

তিনি বলেন, তারা বিতর্কিত আইনের মাধ্যমে হিন্দুদের সম্পত্তি দখল করেছে। হিন্দুদের বেশিরভাগ সম্পত্তি এখনো আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে পাওয়া যাবে। আওয়ামী লীগ হিন্দুদের নিয়ে রাজনীতি করেছে আবার তাদের সম্পত্তিও খেয়েছে।

তিনি আরও বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এই উৎসব উপলক্ষে আমরা মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য সামান্য কিছু উপহার দিচ্ছি। আমরা মনে করি, আমরা সবাই এক সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি। আমাদের মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে মানবতা। আমাদের শরীরে যে রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে আপনাদের শরীরেও সে রক্ত। তাই ধর্ম নিয়ে বিভেদ সৃষ্টি করা উচিত নয়। কিন্তু

রোববার (৬ অক্টোবর) বিকেলে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের মাঝে বস্ত্র বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন যেন প্রতিটি মণ্ডপে নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে টিম করে সনাতনীদের পাশে থাকে। তাই হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে ধর্মীয় উৎসব শান্তি ও স্বস্তি সহকারে উৎসব মুখর পরিবেশে পালন করতে সহযোগিতা করবে মহানগর বিএনপি। আমাদের থানা ও ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দ স্থানীয়ভাবে পূজা উদযাপন কমিটির নেতাদের সাথে সমন্বয় করে তাদের পাশে থাকবে।

চট্টগ্রাম মহানগর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যান ফ্রন্টের আহবায়ক অধ্যাপক জন্টু কুমার বড়ুয়ার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব বাপ্পি দে এর পরিচালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি হারুন জামান, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজীব ধর তমাল, কেন্দ্রীয় সদস্য সাংবাদিক বিপ্লব পার্থ।

এসময় প্রধান বক্তার বক্তব্যে নাজিমুর রহমান বলেন, আমাদের মুসলমানদের ঈদের সময় বড়জনেরা যখন ঈদের বকশিশ দেয় তখন আমরা অনেক খুশি হতাম। আমাদের হিন্দু ভাইদের জন্য তাদের ধর্মীয় উৎসবে এটাও আমাদের ঈদ উপহার। চট্টগ্রাম সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ধর্মীয় উৎসব পালনে এখানে ভয় ও শংকার কোন কারণ নেই। তারপরও কোনো অপশক্তি যাতে ষড়যন্ত্র করতে না পারে সেজন্য আমাদের সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। পতিত সরকারের দোসররা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে। কিন্তু এদেরকে কিছুতেই সফল হতে দেওয়া হবে না। এই ধর্মীয় উৎসব শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পালন করতে আমরা সার্বিক সহযোগিতা করবো। চট্টগ্রামের প্রতিটি পূজামণ্ডপে বিএনপির সমন্বয়ে কমিটি গঠন করে দিনরাত পাহারার ব্যবস্থা করা হবে।

এতে বক্তব্য রাখেন মহানগর কল্যাণ ফ্রন্টের সি. যুগ্ম আহবায়ক বাপ্পি কান্তি দাশ, যুগ্ম আহবায়ক বাবলু দেবনাথ, রুবেল বড়ুয়া, বিপ্লব চৌধুরী বিল্লু, অসীম বণিক, মিটুন দাস, লিটন দাস, রিপন দাস, দক্ষিণ জেলার সদস্য সচিব উজ্জ্বল বরণ বিশ্বাস, উত্তর জেলার সদস্য সচিব জুয়েল চক্রবর্তী, বৌদ্ধ ফোরামের উক্রাচিং মারমা, কল্যাণ ফ্রন্টের সদস্য জীবন মিত্র, সঞ্জয় ধর, সুকান্ত মজুমদার, রাজু দাস, সাজু দাস, অপু সিংহ প্রমূখ।

Related News