ভৈরবে দীর্ঘদিনের বিবাদ নিরসনে উভয় পক্ষের ভূরিভোজ

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কিশোরগঞ্জ | 2024-10-14 10:46:03

ঠুনকো বিষয় নিয়ে বিবাদে জড়িয়ে প্রায় সময় সংবাদের শিরোনাম হয় ভৈরব উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের মৃধা পাড়া ও ব্যাপারী পাড়া নামের দুই বাড়ি। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই অপসংস্কৃতি কোনভাবেই যেন বন্ধ করা যাচ্ছেনা। এবার এসব সমস্যার সমাধানে করা হয়েছে ভিন্ন আয়োজন।

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ঝগড়া-বিবাদ, মনোমালিন্য ও নিজেদের দূরত্ব নিরসনের জন্য একই গোষ্ঠীর প্রায় পাঁচ হাজার নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর ও আবাল-বৃদ্ধ একসঙ্গে দুপুরের ভোজন করেছেন। এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে আনন্দঘন পরিবেশে ঘটে বংশীয় এক মিলনমেলা।

ভৈরব পৌরসভার জগন্নাথপুর বৃহত্তর বেপারীবাড়ি গোষ্ঠীর বয়স্ক ও যুবকরা রোববার (১৩ অক্টোবর) এই আয়োজন করেন। 

এতে অংশ নেয় একই বংশের অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মতিউর রহমান, সমাজসেবক গোলাপ মিয়া, ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফজলুর রহমান, সাবেক কাউন্সিলর আশরাফুল আলম, সমাজসেবক বাবু মিয়া, ফারুক মিয়া, পিয়ার হোসেন, গোলাপ মিয়া, হাবিবুর রহমান, মিষ্টু মিয়া, হাবীব মিয়া, হাবী মিয়া, দেলুয়ার হোসেন তুলু, আতিক মিয়া, শামীম মিয়া, খোকন মাহমুদ প্রমুখ।

এই আয়োজনের কারণ হিসেবে বয়স্করা বলেন, জগন্নাথপুর ব্যাপারীবাড়ির বংশের লোকজনদের মাঝে ছোটখাটো ভুলত্রুটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিভেদ চলছে। এতে করে নিজেদের লোকজনের মধ্যে মনোমালিন্য ও কিছুটা দূরত্ব সৃষ্টি হয়। তারা বলেন, বংশের লোকজন ঐক্যবদ্ধ হলে যেকোনো প্রতিকূলতা মোকাবেলা করা যায়। আজকের বেপারীবাড়ির ঐক্যবদ্ধতায় বংশের মানুষদের উন্নয়নের জন্য সুফল বয়ে আনবে বলে তারা মনে করেন।

বৃহত্তর ব্যাপারীবাড়ি বংশের নাম ও প্রভাব খাটিয়ে কেউ অপকর্ম করলে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি করেন উদ্যোক্তারা। তারা বলেন, শুধু ব্যাপারীবাড়ি নয় পুরো পাড়া-প্রতিবেশী ও জগন্নাথপুর গ্রামের লোকজনসহ সাধারণ মানুষের সঙ্গে ব্যাপারীবাড়ির সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য এ উদ্যোগ।

Related News