‘১ কোটি ২৫ লাখ টাকায় চালু হলো মিরপুর ১০ মেট্রো স্টেশন’

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-10-15 12:19:33

১ কোটি ২৫ লাখ টাকা চালু করা হয়েছে কোটা আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর ১০ মেট্রো স্টেশন বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

তিনি বলেছেন, মিরপুর ১০ মেট্রো স্টেশন চালু করতে মোট খরচ হবে ১৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সকালে মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ স্টেশন পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান।

সড়ক উপদেষ্টা বলেন, আমাদের মিরপুর-১০ স্টেশন চালু করতে খরচ হয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। তবে যেহেতু অন্যান্য স্টেশনগুলো থেকে অনেক যন্ত্রাংশ এনে এখানে সংযোজন করেছি তাই সে সব যন্ত্রাংশ আমদানি সহ আমাদের দুই স্টেশনে মোট খরচ হবে ১৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। সেখানে আরও কিছু বেশি যন্ত্রাংশও থাকবে।

মেট্রোরেলের এমডি পদের জন্য দেশি-বিদেশি মেট্রোরেল সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশি ব্যক্তিদের থেকে আবেদন আহবান করছেন জানিয়ে সড়ক উপদেষ্টা বলেন, আমাদের এখানে মেট্রোরেলে একটা ক্লজ ছিলো যেখানে সাবেক আমলা ছাড়া অন্য কাউকে নিয়োগ দেয়া যেত না। আমরা সেটা এখন বাদ দিয়ে দিয়েছি। এখন আমরা চাই যেনো দেশে-বিদেশে থাকা মেট্রোরেল সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশি কাউকে এই পদে নিয়োগ দিতে চাই। আমরা সে জন্য উম্মুক্ত আবেদন আহবান করছি।

ফওজুল কবির খান বলেন, আমরা এই জন্য সরকারের কাছ থেকে আলাদা কোন টাকা চাইব না। আমাদের মেট্রোরেলের যে অর্থ আছে সেখান থেকেই এই খরচ করব।

মেট্রোরেলে ভাংচুরকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা ছাত্ররা কেউ করেনি। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতকারী যারা আছে, আইজিপিকে নির্দেশ দিয়েছি তারা ব্যবস্থা নিচ্ছে।

এক প্রশ্নের জবাবে এই উপদেষ্টা বলেন, আড়াইশো কোটি টাকা লাগবে বলছিলো, আমরা সব মিলিয়ে সেটা ১৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকায় করতে পারছি- এটা আমাদের নতুন অভিজ্ঞতা। শুধু এখানেই না আমাদের সব জায়গায় ব্যয় সাশ্রয়ী হতে হবে। এটা মেট্রোরেলে বলেন তাই না, রেল পথ মন্ত্রণালয় বলেন, সড়ক পথ বলেন সব জায়গায় হাজার হাজার কোটি টাকা অপচয় হয়েছে। আমরা এটা এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে সবজায়গা করতে হবে। আমার কাছে প্রতিদিন আসে৷ ব্যয় বাড়াতে হবে, সময় বাড়াতে হবে। আমরা বলেছি না, প্রকল্প সময়ের আগেই শেষ করতে হবে এবং নির্ধারিত বাজেটের মধ্যেই করতে হবে।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলার মধ্যে গত ১৮ জুলাই মিরপুর–১০ নম্বর গোলচত্বরে পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ওই দিন বিকেল পাঁচটায় মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এর পরদিন মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে ভাঙচুর করা হয়। ২০ জুলাই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ডিএমটিসিএলের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেছিলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশন দুটি মেরামত করে পুনরায় চালু করতে এক বছরের মতো সময় লাগতে পারে।

Related News