২০০৯ সালে পিলখানায় সংগঠিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহাল ও কারাবন্দি বিডিআর সদস্যদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন গাইবান্ধার 'বিডিআর কল্যাণ পরিষদ'।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে গাইবান্ধা শহরের গানাসানস মার্কেটের সামনে ডিবি রোডে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে এই দাবি জানান সংগঠনের সদস্যরা।
মানবন্ধনের শুরুতে পিলখানা হত্যাকাণ্ড ও ২০২৪ এর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের স্বরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে অন্ততর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে নয় দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপিও দেন তারা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের জেলা সমন্বয়ক আব্দুর রাজ্জাক, হাবিলদার আফছার আলী, হাবিলদার ওসমান গণি, বিডিআর মো: জোবায়ের হোসেন, আসাদুল ইসলাম, মাহফুজ আলম, নজরুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান, মিস নেহাসহ অন্যরা।
প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানো স্মারকলিপিতে উল্লেখিত ৯ দফা দাবিগুলো হলো ২০০৯ সালের ২৫/২৬ ফেব্রুয়ারিতে পিলখানায় সংগঠিত সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডকে তথাকথিত বিদ্রোহ সংজ্ঞায়িত না করে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হিসেবে অ্যাখায়িত করা, ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতর পিলখানা ঢাকাসহ সারাদেশে বিডিআর ব্যাটালিয়ন ও সেক্টরে গঠিত সকল প্রহসনের বিশেষ আদালতকে নির্বাহী আদেশে বাতিল, চাকরিচ্যুত সকল পদবির বিডিআর সদস্যকে সকল প্রকার সুযোগ সুবিধাসহ চাকরিতে পুনর্বহাল, হত্যাকাণ্ডের মামলায় হাইকোর্টের বিচারকদের রায়ের পর্যবেকক্ষণ অনুযায়ী পিলখানা হত্যাকানণ্ডেরে ঘটনার মোটিভ উদ্ধার ও কুশীলবদের সনাক্তকল্পে স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন। শাহাদত বরণকারী ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে শহীদের মর্যাদা দেয়া, ২৫ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে পিলখানা ট্র্যাজিডি দিবস হিসেবে ঘোষণা, হত্যাকাণ্ডের ঘটনা পরবর্তী তদন্ত/জিজ্ঞাসাবাদে নিরাপত্তা হেফাজতে যেসকল নিরীহ বিডিআর সদস্যদের নির্যাতনপূর্বক হত্যা করা হয়েছে তাদের তালিকা প্রকাশ করে মৃত সকল পদবির পরিবারকে ক্ষতিপূরণসহ পুনর্বাসন করা, তদন্ত/জিজ্ঞাসাবাদে নিযুক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য যারা নিরীহ নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের নির্যাতনপূর্বক হত্যা করেছে তাদেরকে সনাক্তপূর্বক বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা এবং বিশেষ আদালত কর্তৃক বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগকারী বিডিআর সদস্যরা যারা প্রহসনের বিস্ফোরক মামলায় দীর্ঘ ১৬ বছর যাবত কারা অভ্যন্তরে আছেন তাদেরকে অনতিবিলম্বে জামিন ও মামলা থেকে অব্যাহতিপূর্বক মুক্ত করার দাবি জানান।
মানববন্ধনে আন্দোলনকারী সদস্যদের শিশু সন্তানসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।