ঘূর্ণিঝড় 'দানা'র নামকরণ যেভাবে

, জাতীয়

নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2024-10-23 15:34:36

পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা উপকূলে পৌঁছাতে পারে। তবে এর গতিপথ পরিবর্তন হতে পারে। এর প্রভাবে রাজধানী ঢাকাসহ উপকূলীয় বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে।

আটলান্টিক মহাসাগর ও এর আশপাশের অঞ্চলে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটারে উঠে গেলে নিম্নচাপ ঝড়ে পরিণত হয়। আর এ সময়ই ঘূর্ণিঝড়টিকে একটি নাম দিয়ে চিহ্নিত করা হয়।

এবারের ঘূর্ণিঝড়টির 'দানা' নাম দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। এটি আরবি শব্দ যার অর্থ মুক্ত বা স্বাধীনতা। 

ভারত মহাসাগরের ঝড়গুলোর নামকরণ করে ১৩টি দেশ। সেগুলো হলো- বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মায়ানমার , মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, ওমান, ইরান, সৌদি আরব, ইয়েমেন, সংযুক্ত আরব ও কাতার।

ঘূর্ণিঝড় নামকরণের ক্ষেত্রে ইংরেজি বর্ণমালার কিউ, ইউ, এক্স, ওয়াই ও জেড-এই ৫টি অক্ষর বাদ দিয়ে নামকরণ করা হয়। এগুলো সাধারণত এক বছরের জন্য পর্যায়ক্রমিকভাবে করা হয়। তবে কোনো বছর যদি ২১টির বেশি ঘূর্ণিঝড় দেখা দেয়, তবে নামগুলোর সঙ্গে গ্রিক বর্ণমালা যুক্ত করা হয়। নামকরণের পদ্ধতি অঞ্চলভেদে পরিবর্তিত হয়। 

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা আঞ্চলিক কমিটির অধীনে মোট ৫টি আঞ্চলিক সংস্থা তাদের স্ব স্ব অঞ্চলের ঘূর্ণিঝড়গুলোর নামকরণ করে। এগুলো হলো- ইএসসিএপি (ইকনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক) বা ডব্লিউএমও (বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা) টাইফুন কমিটি, ডব্লিউএমও বা ইএসসিএপি প্যানেল অন ট্রপিক্যাল সাইক্লোন, আরএ (রেজিওনাল অ্যাসোসিয়েশন) ট্রপিক্যাল সাইক্লোন কমিটি, আরএ-৪ হারিকেন কমিটি, আরএ-৫ ট্রপিক্যাল সাইক্লোন কমিটি।

এদিকে আজ দুপুরে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ আব্দুর রহমান খানের দেওয়া ঘূর্ণিঝড়ের ৫ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,  এটি চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৬০০ কিলোমিটার দক্ষিণ- দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৫৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।

এর ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে।

Related News