ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে দ্বিখণ্ডিত ইনানী নৌবাহিনীর জেটি

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার | 2024-10-24 15:43:36

কক্সবাজারের ইনানী সৈকতে নির্মিত নৌবাহিনীর জেটি ভেঙে দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে জোয়ারের পানির তোড়ে একটি বার্জের ধাক্কায় জেটিটি দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেছে। কারণ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। গতরাত ২-৩টার সময় ছিল পূর্ণ জোয়ার। এ সময় ঢেউয়ের প্রচণ্ডতায় জেটির সঙ্গে বাঁধা একটি ছোট বার্জের ধাক্কা লাগে; এতেই এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) জেটি ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হোসেন।

তিনি বলেন, জেটির সঙ্গে বেঁধে রাখা বার্জের রশি ছিঁড়ে গেলে বার্জের ধাক্কা লাগে। এই ধাক্কায় জেটির একটি অংশ ভেঙে দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায়। জেটি যেহেতু নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে তাই নৌবাহিনী সিদ্ধান্ত নিবে এটি পরবর্তীতে কি করা হবে।

জেটি ঘাটের চা দোকানি আবদুল মাজেদ বলেন, বার্জটি জেটির সঙ্গে বেঁধে রাখায় মধ্যরাত থেকে বাতাসের ধাক্কায় বড় বড় আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু এ সময় কেউ জেটিতে এবং বার্জে ছিল না। এমনকি, রাত ২-৩টার দিকে জেটি ভেঙে যাওয়ার পর সকাল ১০টা পর্যন্ত কোনো লোককে জেটির আশেপাশে দেখা যায়নি।

গত কয়েকদিন ধরে ছোট আকারের তিনটি নৌযান জেটিতে কাজ করছিল। এসব নৌযান সরিয়ে না রাখার কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে।

২০২০ সালে আন্তর্জাতিক নৌমহড়া অনুষ্ঠানের জন্য জেটিটি নির্মাণ করেছিল বাংলাদেশ নৌবাহিনী। দীর্ঘ সৈকত দ্বিখণ্ডিত করে জেটি নির্মাণ করার বিরুদ্ধে সে সময় আওয়াজ তুলেছিলেন পরিবেশবাদীরা।

এমনকি, ২০২২ সালে পরিবেশবাদী সংগঠন কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত রুল জারি করেছিলেন জেটিটি অপসারণের জন্য। ফোরাম সভাপতি আনম হেলাল উদ্দিন জানান, আদালতের রুল জারির পরেও জেটি অপসারণ করা হয়নি।

এদিকে, গত বছর থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটক জাহাজ আসা-যাওয়া করছিল উক্ত জেটি দিয়ে। এই জেটি দিয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি-সেনা ও কাস্টমস কর্মকর্তাদেরও প্রথম ধাপে ফেরত পাঠানো হয়। আগামী ১ নভেম্বর থেকে জেটিটি দিয়ে দ্বীপে যাতায়াতের প্রস্তুতি নিচ্ছিল জাহাজ কোম্পানিগুলো।

Related News