কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে গভীর রাতে জানালার গ্রিল কেটে বাড়িতে ঢুকে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ডাকাত দলের সদস্যদের চিনে ফেলায় বাড়ির মালিকের ছেলেকে মারধর ও শ্বাসরোধে হত্যা করে টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে ডাকাতরা।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের নগরাজপুর গ্রামের সুপারি ব্যবসায়ী শফি উদ্দিনের বাড়িতে এ দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম আলেফ উদ্দিন (৩৬)। তিনি ওই বাড়ির মালিক শফিউদ্দিনের ছেলে।
খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান ও ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সানোয়ার হোসেনসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
বাড়ির মালিক শফি উদ্দিন জানায়, রাত ২টার দিকে দশ-বারো জন মুখোশ পড়া ডাকাত রান্না ঘরের জানালার গ্রিল কেটে বাড়িতে প্রবেশ করে। বাড়িতে ঢুকেই আমার স্ত্রী হাসিনা বেগম, ছেলে আলেফ উদ্দিন, আনিছুর রহমান এবং ছেলের বউ সোমাইয়া বেগমসহ সকলের হাত, পা, মুখ বেঁধে মারধর করে টাকা ও স্বর্ণালংকার কোথায় আছে দেখিয়ে দিতে বলে। এক পর্যায়ে তারা ড্রয়ারে রাখা ১০/১২ হাজার টাকা, পাঁচ-ছয় ভরি স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। এসময় ছেলে আলেফ উদ্দিন ডাকাত দলের সদস্যদের চিনে ফেলায় তাকে বেদম মারধর করে মুখে কাপড় গুজে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়।
শফি উদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা বেগম বলেন, তারা টাকা ও স্বর্ণালংকার নেওয়ার পরও আমার চোখের সামনে ছেলেকে মারধর করে নাক মুখ গলা চেপে ধরে হত্যা করে। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ আমার ছেলের হত্যাকারীদের যেন দ্রুত গ্রেফতার করা হয়।
ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ সানোয়ার হোসেন জানান, আমি ঘটনাস্থলে রয়েছি। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানো এবং থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান জানান, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ডাকাত দল রান্না ঘরের জানালার গ্রিল কেটে বাড়িতে প্রবেশ করেছে। বাড়ির মালিকের ছেলে আলেফ উদ্দিন হয়তো ডাকাতদের চিনতে পেরেছে। সে কারণে ডাকাতরা তাকে মেরে ফেলতে পারে। অনুসন্ধান করে এই সংঘবদ্ধ ডাকাত দলকে গ্রেফতারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।