রাজধানী ঢাকার বায়ুর মানে কোনো উন্নতি নেই। বেশ কয়েকদিন ধরেই শহরটির বাতাস 'অস্বাস্থ্যকর' পর্যায়ে রয়েছে। আজও এ ধারা অব্যাহত রয়েছে জনবহুল এ শহরটিতে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আইকিউএয়ারের বায়ুর মান সূচকে (এআইকিউ) ১৬৫ স্কোর নিয়ে ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে ঢাকা। এই স্কোরকে 'অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এদিকে ভারতের রাজধানী দিল্লির বাতাসের মানের অবস্থা খুবই ভয়াবহ। শহরটি ৮২২ স্কোর নিয়ে রয়েছে প্রথম স্থানে। বাতাসের এ মানকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ বা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া পাকিস্তানের লাহোর ও ভিয়েতনামের হ্যানয় যথাক্রমে ৪৪১ ও ১৭৫ একিউআই স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
একিউআই স্কোর ৫১ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে তাকে ‘মাঝারি’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর', ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।