গাইবান্ধায় আট বছর বয়সী রামিম নামের এক সন্তানের সড়ক দুর্ঘটনায় আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে মারা গেছেন শিশুটির বাবা জিয়াউর রহমান জিয়া! এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রাত সাড়ে ১০টায় গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে দুর্ঘটনার কবলে পড়া শিশুটি।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) দুপুর সোয়া ১টার দিকে সদর উপজেলার শাপলা মিল এলাকায় গাইবান্ধা-পলাশবাড়ি আঞ্চলিক মহাসড়ক পারাপারের সময় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার কবলে পড়ে শিশুটি আহত হয়। এ ঘটনার পর বিকেল সাড়ে চারটার দিকে নিজ বাড়িতেই মারা যান ওই শিশুর বাবা জিয়াউর রহমান।
৪৫ বছর বয়সী জিয়াউর রহমান জিয়া শাপলামিল সংলগ্ন হামিদ স্যানেটারির স্বত্বাধিকারী মরহুম আব্দুল হামিদের বড় ছেলে। এছাড়া তিনি গাইবান্ধা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য ছিলেন।
আহত শিশু রামিম গাইবান্ধার একটি বেসরকারি স্কুলের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি মো. ময়নুল হক।
তিনি মোবাইলফোনে জানান, জিয়াউর রহমানের ছেলে রামিম শুক্রবার জুমার নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে যাচ্ছিল। শাপলামিল এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগতির একটি মোটরসাইকেল তাকে ধাক্কা দেয়। এতে শিশুটির রাস্তার ওপর ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। এসময় স্থানীয়রা শিশু রামিমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
পরে শিশুর বাবা জিয়াউর রহমান নামাজ শেষে মসজিদ থেকে আসার পথে ছেলের দুর্ঘটনার খবর শুনে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে যান। ততক্ষণে ছেলের শারীরিক অবস্থা আরো খারাপ হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা শিশু রামিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। এমন অবস্থায় রংপুর যাওয়ার জন্য টাকা ও কাপড় নিতে বাড়ি গিয়েই মারা যান জিয়াউর রহমান।
ময়নুল হক আরও জানান, নিহত জিয়াউর রহমান তার খালাতো বোন জামাই হোন। সন্তানের দুর্ঘটনার টেনশন এবং আতঙ্কে হাসপাতাল থেকে বাড়ি এসেই মারা যান জিয়া।