নেত্রকোনার কলমাকান্দায় অবৈধপথে আনা মূল্য ২০ লক্ষ টাকা মূল্যের ৩৫২ পিস ভারতীয় কম্বল পাচারের সময় মো. আল আমিন মিয়া (৩০) নামে এক পুলিশ কনস্টেবলসহ দুজনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।
রোববার (১৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ৮ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের নেত্রকোনা জেলায় দায়িত্বরত সেনা কর্মকর্তা মেজর জিসানুল হায়দার।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, রবিবার আনুমানিক ভোর সাড়ে ৩টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কলমাকান্দা সেনা ক্যাম্পের মেজর নাজমুজ সাকিবের নেতৃত্বে একটি টহল দল অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় কলমকান্দা সদর ইউনিয়নে খাসপাড়া এলাকা হতে ৩৫২ পিস ভারতীয় কম্বলসহ একটি সাধারণ ট্রাক আটক করে সেনা সদস্যরা। ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতা থাকার সন্দেহে এক পুলিশ কনস্টেবলসহ দুজনকে আটক করতে সক্ষম হয় টহল দলটি।
আটককৃতরা হলেন- পুলিশ কনস্টেবল মো. আল আমিন মিয়া (৩০)। বর্তমানে তিনি কলমাকান্দা থানায় কর্মরত এবং তার বাড়ি ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ধিকপুর গ্রামে। অন্যজন নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার ধইরাকনা গ্রামে আব্দুল আলিম (৪৫)।
এ ঘটনায় জব্দকৃত অন্যান্য তালিকায় রয়েছে একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট- ২৪-৩২৫৬), দুটি মোটরসাইকেল, একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স, তিনটি মোবাইল ফোন, একটি জাতীয় পরিচয় পত্র, একটি মানিব্যাগ, বেশ কিছু কাগজপত্রসহ নগদ ৩৭৩ টাকা।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করেন, জব্দকৃত মোবাইলের কললিষ্ট পর্যালোচনা করে দেখা যায় পুলিশ কনস্টেবল আল আমিন এবং কম্বল চোরাকারবারি আব্দুল আলিম পূর্ব পরিচিত এবং তাদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। সেনাবাহিনীর নিকট আটক হওয়ার পূর্বক্ষন পর্যন্ত উক্ত পুলিশ কনস্টেবল এবং আব্দুল আলিমের মধ্যে মোট ৯৭ বার মোবাইলে কথোপকথন হয়। অবৈধ কম্বলের চালানের বিষয়টি আব্দুল আলিম পুলিশ কনস্টেবল আল আমিন কে জানানোর পর সে আনুমানিক রাত ০২.৪৫ ঘটিকার সময় চাঁদা আদায়ের উদ্দেশ্যে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এছাড়াও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় পুলিশ কনস্টেবল আল আমিন দীর্ঘদিন যাবৎ সিএনজি এবং অবৈধ পাথর, বালু, কয়লা উত্তোলনকারী এবং চোরাকারবারিদের নিকট হতে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে আসছিলেন।
মেজর জিসানুল হায়দার জানান, আটককৃত পুলিশ কনস্টেবল আল আমিনকে নেত্রকোনা পুলিশ সুপারের সমন্বয় সাপেক্ষে নেত্রকোনা সদর থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। আটককৃতদের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।