টানা ৬ দিন পর প্রত্যাহার করা হয়েছে বেনাপোল রুটের দূরপাল্লার বাস ধর্মঘট। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকেল থেকে স্বাভাবিক হয়েছে বাস চলাচল। এতে স্বস্তি ফিরেছে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের।
এদিন দুপুরে নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের সঙ্গে পরিবহন সংশ্লিষ্টদের বৈঠকে সন্তোষজনক সমাধানে বাস মালিক সমিতি ধর্মঘট তুলে নেয়। এর আগে বেনাপোল বন্দর বাস টার্মিনাল বন্ধের প্রতিবাদে গত শনিবার থেকে সারাদেশের সাথে বেনাপোল রুটে বাস সেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল।
বেনাপোল সোহাগ পরিবহন কাউন্টারের ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম জানান, গত ২২ নভেম্বর রাতে বেনাপোল পৌর বাস টার্মিনালে ঢাকা–বেনাপোলগামী দূরপাল্লার পরিবহন থেকে নামিয়ে দেওয়া হয় যাত্রীদের। বেনাপোল চেকপোস্ট থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে নামিয়ে দেওয়ায় দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। পৌর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বাস মালিকদের মধ্যে মতানৈক্যের কারণে গত ৬ দিন বন্ধ রাখা হয় ঢাকা বেনাপোল দূর পাল্লার বাস চলাচল। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
ঢাকার বাস মালিক সমিতি যাত্রীদের নিরাপত্তা ও দুর্ভোগের কারণে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছিল। অবশেষে বৃহস্পতিবার নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের সঙ্গে পরিবহন সংশ্লিষ্টদের বৈঠকে বিষয়টি মিমাংসা হওয়ায় চালু করা হয় বাস চলাচল। খোলা হয় বেনাপোলের পরিবহন কাউন্টার গুলো।
বন্দর টার্মিনালে সরাসরি বাস আসতে বাধা নেই বলে নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল বন্দর সহকারি পরিচালক অ শ ম সৈয়েদ খালিদ। এই কর্মকর্তা বলেন, ‘বন্দর বাস টার্মিনালটি খুলে দেওয়া হয়েছে। দূর পাল্লার এসি ও নন এসি বাস যাত্রী নিয়ে আসতে পারবে। পৌর টার্মিনালেও আন্তঃজেলা বাস থামবে।’
ভারত ফেরৎ পাসপোর্টধারী অমিত হাসান জানান, ৪ দিন আগে তিনি ভারতে গিয়েছিলেন, এখন ফিরছেন। যাওয়ার সময় এ রুটে বাস সেবা বন্ধ থাকায় তাদের গভীর রাতে যশোরে নামিয়ে দেয়। এসময় নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে ৩৫ কিলোমিটার ইজিবাইক চড়ে তাদের বেনাপোল সীমান্তে আসতে হয়েছিল। এখন শূন্য রেখায় আবার বন্দর বাস টার্মিনাল ব্যবহার সুযোগে তাদের স্বস্তি ফিরেছে।
উল্লেখ্য, সাধারণ সময় প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর ব্যবহার করে ৭ থেকে ৮ হাজার পাসপোর্টধারী যাতায়াত করে থাকলেও তবে বাসধর্মঘটে দুর্ভোগের কারণে যাত্রীর সংখ্যা অর্ধেক কমেছিল।