ময়মনসিংহের ভালুকায় আনারস চাষে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছেন উপজেলার কাচিনা ইউনিয়নের কাদিগর নয়াপাড়া গ্রামের সামছুল হক সুরুজ মেম্বার। ২০২৩ সালে ২৪ বিঘা জমিতে শুরু করেছেন আনারস চাষ।
এর আগে ভালুকা উপজেলায় এতো বড় আনারস বাগান করেনি কেউ। এই উদ্যোক্তা জানান ২৪ বিঘা জমিতে আনারস চাষ করতে খরচ হয়েছে প্রায় বিশ লক্ষ টাকা। তবে তিনি আশা করছেন এই আনারস বাগান থেকে কোটি টাকা আয় হবে।
এ চাষে লাভের আশা বেশি থাকে কারণ পোকা-মাকরের আক্রমণ কম হয়। একবার লাগাতে পারলে পরে তেমন কোন খরচ নেই। তবে কীটনাশক সার বিষ এ গুলোর দাম আরও কম হলে অধিক লাভবান হওয়া যাবে।
তার এই আনারস বাগান দেখে আনারস চাষে আগ্রহী হচ্ছেন এলাকার বেকার যুব সমাজ। তারা কৃষি অফিসের সহায়তা নিয়ে আনারস চাষ করে বেকারত্ব দূর করতে চান।
শফিউল্লাহ আনসারী নামে এক যুবক বলেন, আমাদের পাশের গ্রামের সামছুল হক সুরুজ মেম্বার কাকা এই বয়সে যে আনারস বাগান করেছেন এটা প্রশংসনীয়। তার এ বাগান আমাদের দেখে যুব সমাজ আনারস চাষে এগিয়ে আসছে।
শফিকুল ইসলাম নামের এক কলেজ ছাত্র জানান, আমরা লেখাপড়ার পাশাপাশি আমাদের পতিত উঁচু জায়গায় আনারস চাষ করে সফল হচ্ছি, তবে যদি সঠিকভাবে আমাদের কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে যদি প্রশিক্ষণ দেয়া হয় তাহলে আমরা অধিক লাভবান হবো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুসরাত জামান জানান, ভালুকা উপজেলায় ১০ হেক্টর জমিতে আনারস চাষ হয়েছে। উপজেলার সুরুজ মেম্বারের বাগানটিই সবচেয়ে বড়। আমরা তার বাগান পরিদর্শন করেছি। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে তাকে সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তা নিয়ে ভালুকা উপজেলায় আনারস চাষের বিপ্লব ঘটাতে চান এই উদ্যোক্তা।