দেশের উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাটে ঘন কুয়শায় বাড়ছে শীত। ভোর থেকে কুয়াশাচ্ছন্ন থাকে পুরো রাস্তাঘাট। বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা। গত দুদিন থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে এ জনপদে।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) ভোর থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল লালমনিরহাট।
এসময় ঘন কুয়াশা থাকায় লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কে যানবাহন গুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। অপরদিকে শীতজনিত রোগে হাসপাতাল গুলোতে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
জানা গেছে, কয়েকদিন আগেও ছিল ভ্যাপসা গরম। আর এখন প্রকৃতিতে ঋতুবদলের আয়োজন। এরপর আসবে শীতকাল। কিন্তু এখনই প্রকৃতি জানান দিচ্ছে, শীতের আগমনী বার্তা। আর কয়েকদিনের মধ্যে পুরোদমে ঠান্ডার প্রভাব বাড়বে।
হাতীবান্ধা টংভাঙ্গা এলাকায় রিকশা চালক মোকসেদ ইসলাম বলেন, গত দুদিন থেকে প্রচুর পরিমাণে ঘন কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। কুয়াশার পাশাপাশি ঠান্ডাও বাড়ছে। ঘন কুয়াশার কারণে যাত্রীর সংখ্যাও কম।
ডাউয়াবাড়ী এলাকার বাসিন্দা হাসানুল আলম খান জুয়েল জানান, কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে চরাঞ্চলের মানুষ। অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছে।
হাতীবান্ধা উপজেলার প্রকল্প ও বাস্তবায়ন কর্মকর্তা উত্তম কুমার নন্দী বলেন, প্রতি বছর এসব এলাকায় শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছিন্নমূল মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে।
রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নভেম্বরের শেষে ও ডিসেম্বরের শুরুতে ঠান্ডা প্রকোপ বাড়বে।
লালমনিরহাটে পাঁচটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বাড়তে শুরু করেছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। নিউমোনিয়া, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগ নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা।
হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আনারুল হক জানান, হাসপাতালে কয়েকদিন থেকে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি রোগীদের সেবা দিতে।