চুয়াডাঙ্গার পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে বিদেশি মদ, ফেনসিডিল ও গাঁজা উদ্ধারসহ তিন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
দুপুরে সাড়ে ১২টর দিকে চুয়াডাঙ্গা সদরের দৌলতদিয়াড় বঙ্গজপাড়ায় যৌথ অভিযানে মাদকসহ তরিকুল ইসলাম (৪০) নামের এক মাদক কারবারি আটক হন। এসময় তার বাড়ি থেকে ৪ বোতল বিদেশি মদ ও ৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। সে এলাকার আহসান হাবীবের ছেলে।
অভিযান সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুরে ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের ওয়ারেন্ট অফিসার জাহিদুল আলম ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক নাজমুল হোসেন খানের নেতৃত্বে চুয়াডাঙ্গার শহরতলীর দৌলতদিয়াড় বঙ্গজপাড়ায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় একই এলাকার আহসান হাবীবের ছেলে চিহ্নিত মাদক কারবারি তরিকুলকে তার বাড়িতে থেকে আটক করা হয়। আটকের পর তার হেফাজতে থাকা ৪ বোতল অবৈধ বিদেশি মদ ও ৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আটক মাদক কারবারি তরিকুলকে আটকের পর উদ্ধারকৃত মাদকসহ তার বিরুদ্ধে পরিদর্শক নাজমুল হোসেন খান বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস.এম আশিস মমতাজের নেতৃত্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক নাজমুল হোসেন খান পৌর শহরের ফার্মপাড়ায় অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী আসাদুলকে (৫০) গ্রেপ্তার করে। এসময় তার নিকট থেকে ২০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার হয়। আসাদুল ফার্মপাড়ার বাদশার ছেলে। পরে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
এছাড়াও শহরদলীর দৌলতদিয়াড় বঙ্গজপাড়া এলাকায় পৃথক অপর একটি অভিযান থেকে ১০০ গ্রাম গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী সোহেল রানা (২৮) আটক হন। ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
সোহেল রানা বঙ্গজপাড়ার শামীম হোসেনের ছেলে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আসামিদের এই দণ্ড দেন সদর উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস.এম আশিস মমতাজ।