দেশে ১১.৯ শতাংশ মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছে

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী | 2024-12-11 19:52:17

বাংলাদেশের জনসংখ্যার ১১ দশমিক ৯ শতাংশ অপুষ্টিতে ভুগছে। ক্ষুধা মোকাবিলায় বাংলাদেশে অগ্রগতি হলেও এখনো মাঝারি মাত্রার ক্ষুধা বিরাজ করছে।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক ২০২৪ প্রতিবেদন এতথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের স্কোর ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের তুলনায় ভালো অবস্থানে থাকলেও নেপাল ও শ্রীলংকার চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে।

বলা হয়, ১৯ দশমিক ৪ স্কোর পেয়ে বাংলাদেশ ১২৭টি দেশের মধ্যে ৮৪তম অবস্থানে রয়েছে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের ১১ শতাংশ মৃত্যুঝুঁকিতে এবং ২৩ দশমিক ছয় শতাংশের শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি বয়সের তুলনায় যথেষ্ট কম।

মূলত চারটি সূচকের ওপর ভিত্তি করে ক্ষুধা সূচকের স্কোর নির্ধারিত হয়েছে: এর মধ্যে অপুষ্টির মাত্রা, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের উচ্চতা অনুযায়ী কম ওজন, বয়স অনুযায়ী কম উচ্চতা এবং শিশুমৃত্যুর হার। বাংলাদেশে জনসংখ্যার ১১.৯ শতাংশ অপুষ্টিতে ভুগছে।

'জিরো হাঙ্গার: চ্যালেঞ্জস অ্যান্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড' শীর্ষক অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড ও ওয়েলথাঙ্গারহিলফ যৌথভাবে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ক্ষুধা হ্রাসে অগ্রগতি অর্জন করলেও, জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য যথেষ্ট নয়। পাঁচ বছরের নিচের শিশুদের ২৩ দশমিক ৬ শতাংশ খর্বকায়। পাঁচ বছরের নিচের শিশুদের ১১.০ শতাংশ শারীরিকভাবে দুর্বল। পাঁচ বছর বয়সের আগে ২ দশমিক ৯ শতাংশ শিশু মারা যায়।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে মাঝারি মাত্রার ক্ষুধাপীড়িত দেশের তালিকায় রাখা হয়েছে যার জিএইচআই সূচক ১৯ দশমিক চার।

ড. মিশেল ক্রেজা বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ বহুখাতভিত্তিক উন্নয়নে কার্যক্রমে বাংলাদেশকে সহায়তা দিয়ে আসছে। দরিদ্র মানুষেরা অনেক সময় পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার কিনতে পারে না। তাই সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে দরিদ্রসহ অন্যান্য বিপদাপন্ন জনগোষ্ঠীকে আরো অগ্রাধিকার দিয়ে সামগ্রিক খাদ্য নিরাপত্তার ব্যবস্থাকে জোরদার করতে হবে।

বাংলাদেশের জিএইচআই সূচক গণনার সময় মূলত অপুষ্টি, শিশুমৃত্যু, শিশুর মৃত্যুঝুঁকি ও বৃদ্ধি হিসাব করা হয়।

Related News