ময়মনসিংহে রোববার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনটি ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল ও একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সকাল পৌনে ৮ টার লাইনচ্যুত হওয়া ট্রেনের বগি রাত সাড়ে ৯ টায়ও উদ্ধার করা যায়নি। দিনভর ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী ট্রেন গুলোতে শিডিউল বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ময়মনসিংহ জংশন ও আউলিয়ানগর স্টেশন এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকাল পৌনে ৮ টার দিকে জামালপুর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী জামালপুর কমিউটার ট্রেন ময়মনসিংহ জংশন থেকে ছেড়ে যাচ্ছিল। কিন্তু জংশনে এক নম্বর লাইনে থাকা ট্রেনটির একটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে ১ ও ২ নম্বর লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। ৩ ও ৪ নম্বর লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়। উদ্ধারকারী ট্রেন সকাল ১০ টায় অন্য বগি নিয়ে গেলে আটকে থাকে দুটি বগি। আজ রাত ১০ টা পর্যন্ত লাইনচ্যুত বগিটি উদ্ধার করা শেষ করা যায়নি।
এদিকে সকাল ৮ টা ৫ মিনিটের দিকে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ভুয়াপুরগামী নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেন ময়মনসিংহ জংশন এলাকায় ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। পরে সেটি এক ঘণ্টা বিলম্বে স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। সকাল ১০ টার দিকে ত্রিশালে আউলিয়ানগর এলাকায় ঢাকা থেকে দেওয়ানগঞ্জগামী দেওয়ানগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। ইঞ্জিন মেরামত করে প্রায় ঘণ্টাখানেক পর ট্রেনটি ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। আবার রবিবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে জামালপুর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ময়মনসিংহ জংশনে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। পরে রিলিফ ইঞ্জিনে ৩ ঘন্টা বিলম্বে রাত ৮ টায় ময়মনসিংহ জংশন থেকে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
ময়মনসিংহ জংশন স্টেশনের জ্যেষ্ঠ স্টেশন মাস্টার এসএম নামজুল হক খান বলেন, আজ তিনটি ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল ও একটি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটে। লাইনচ্যুত হওয়া ট্রেনের বগিটি উদ্ধারে কাজ চলমান রয়েছে। এসব কারণে ট্রেন পরিচালনায় কিছুটা শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে।
দিনভর বিভিন্ন ট্রেন ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। জংশনের চারটি লাইনের মধ্যে দুটি লাইন বন্ধ থাকায় বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেন দাঁড় করিয়ে রেখে পাস করা হয়। এতে ময়মনসিংহ-ঢাকা-জামালপুর, ময়মনসিংহ-গৌরীপুর-ভৈরব, ময়মনসিংহ-গৌরীপুর-মোহনগঞ্জ ও জারিয়াগামী ট্রেন চলাচলে শিডিউল বিপর্যয় ঘটে।