বগুড়ায় সাবেক ছাত্রদল নেতাকে আটকের পর ছেড়ে দেওয়ার সময় ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সদর থানার এসআই তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
ঘুষ নেওয়ার ঘটনা জানতে পেরে বগুড়া জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল বাছেদ থানায় গেলে ঘুষের টাকা অন্যের মাধ্যমে ফেরত দিয়ে থানা থেকে সটকে পড়েন এসআই তরিকুল ইসলাম।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে বগুড়া সদর থানায় এঘটনা ঘটে।
বগুড়া জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল বাছেদ জানান, মঙ্গলবার রাতে সদর থানার এসআই তরিকুল শহরের জামিলনগর এলাকা থেকে সাবেক ছাত্রদল নেতা রুবেল হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। রুবেল হোসেন শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক ইউনিয়নের বেলাই গ্রামের গাজিউর রহমানের ছেলে। তিনি ২০১৮ সালে অনুমোদিত জেলা ছাত্রদলের সদস্য ছিলেন।
তিনি বলেন, রুবেল আমার গ্রামের বাসিন্দা। বিকেলে তার এক আত্মীয় জানায় রুবেলকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়ার সময় এসআই তরিকুল ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন। এ খবর শুনে আমি নিজেই থানায় যাই। আমাকে দেখে এসআই তরিকুল থানা থেকে সটকে পড়েন এবং ঘুষের ৫০ হাজার টাকা রুবেলের ওই আত্মীয়কে ফেরত দেন।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি পুলিশ সুপারকে জানানো হয়েছে। তিনি এসআই তরিকুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চেয়েছেন।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মঈনুদ্দিন বলেন, রুবেলের নামে ছাত্র আন্দোলনের সময় সাধারণ ছাত্রদের ওপর হামলার অভিযোগ করা হয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের পক্ষ থেকে। এ কারণে মঙ্গলবার রাতে তাকে আটক করা হয়। পরে যাচাই বাছাই করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে ফেরত দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শুনেছি এসআই তরিকুল ৫০ হাজার টাকা নিয়ে পরে ফেরত দিয়েছেন।
বগুড়ার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা বলেন, আমি রাজশাহীতে অবস্থান করছি। আদালতের পিপি বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। বগুড়ায় ফিরে অভিযোগ যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।