নীলফামারীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে সদরের দারোয়ানী টেক্সটাইল এলাকায় একজন এবং রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরেকজন মারা যায়।
নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার কুন্দপুকুর ইউনিয়নের ছোট এলোংমারী গ্রামের মানিক রায়ের স্ত্রী পূর্ণিমা রায় (২৪) ও ডিমলা বন্দর খড়িবাড়ি গ্রামের বন্দর খড়িবাড়ি গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে ও ডিমলা সরকারি ট্যানিক্যাল স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র নাহিদ হাসান লাবন্য (১৭)।
সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আর সাঈদ বলেন, সকালে নিহত পূর্ণিমা তার স্বামীর সঙ্গে মোটরসাইকেলযোগে ইপিজেডের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় দারোয়ানি বাজারে পৌঁছালে পিছন থেকে দ্রুত গতিতে আসা একটি ট্রাক তাকে ধাক্কা দিলে মাটিতে পড়ে গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা ছুটে এসে দেখেন তিনি মারা গেছেন। স্থানীয়রা চালককে আটক করেছে। এ বিষয়ে আইনি কার্যক্রম চলমান আছে।
ডিমলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলে এলাহি বলেন, গতকাল রাতে এশার নামাজ পড়ার জন্য লাবন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে মসজিদের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময়ে অপরদিক থেকে দ্রুত গতিতে আসা একটি ট্রাক ধাক্কা দিলে সে ছিটকে পড়ে গুরুতর হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে আজ দুপুরে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এ বিষয়ে তার বাবা বাদী হয়ে সড়ক পরিবহন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।