‘হেলাল হাফিজ অনন্য এক মানুষ ছিলেন। তার চিন্তার প্রখরতা দূরদর্শিতা ছিল অতুলনীয়। এরকম মানুষ পাওয়া এ যুগে দুর্লভ। তিনি আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন। তিনি বেঁচে থাকবেন তার কবিতায়।’
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আবিষ্কার প্রকাশনীর উদ্যোগে আয়োজিত কবি হেলাল হাফিজ ও কবি এরশাদ মজুমদারকে নিয়ে স্মরণ সভায় উপস্থিত কবি লেখকরা স্মৃতি চারণ করে এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, তিনি ১৯৬৯ সালেই তরুণদের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলেন। লিখেছেন, এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়। হেলাল হাফিজ কবিতা পাঠ করতেন। পড়ার সময় আমরা অন্য হেলাল হাফিজকে দেখতাম। কি গুরু গম্ভীর! কেউ তাকে বলতে পারবেনা কোনো গোষ্ঠী, কিংবা দলের। বা অন্য নির্দিষ্ট কোনো চিন্তার।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও কালের কণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ বলেন, ‘আমার নামটা হেলাল হাফিজের দেওয়া। হেলাল হাফিজের মৃত্যু আমার অঙ্গহানির সমান। তিনি কিংবদন্তি তুল্য। আমি মনে করি কথা সাহিত্যের জগতে হুমায়ুন আহমেদ ও তিনি এভারেস্ট সমান। কবি শামসুর রহমানের হাত ধরে আমার সংবাদিকতায় প্রবেশ। আমি উনাকে বড় ভাইয়ের চেয়ে বেশি শ্রদ্ধা করি। হেলাল হাফিজের কবিতা সংগ্রহ চলছে। তাকে নিয়ে যারা লিখছেন তাদের কবিতা নিয়ে একটা বই হবে। হেলাল হাফিজ আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন চিরকাল।’
কবি সোহরাব হোসেন বলেন, ‘আমাদের আজ আয়োজন ছোট কিন্ত আন্তরিকতায় পরিপূর্ণ। হেলাল হাফিজ আমাদের সমস্ত সত্তা জুড়ে। উনার জীবনটা বিস্ময়কর। কিন্ত তিনি গল্পে-কবিতায় থাকবেন। আমরা যারা তার সংস্পর্শ পেয়েছি। তিনি আমাদের পুরোটা জুড়ে থাকবেন।’
কবি ও সাংবাদিক মোশাররফ হোসেন বলেন, হেলাল হাফিজের সার্থকতা হলো তার সময়কার তারুণ্যকে সঠিক নির্দেশনা নিয়ে মানুষের মনের দাগ কেটেছেন। কবিরা শুধু শব্দের ওপর দখল রাখে না। তারা চিত্তলোকে থাকে। তাদের মনোজগৎ বিশাল। কবিরা তাদের লেখনীর মাধ্যমে সমাজের ক্রান্তিকাল দূর করতে পারে। যদি তাদের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ঠিক থাকে।
তিনি বলেন, এরশাদ মজুমদার নিজেকে সুফি হিসেবে পরিচয় দিতেন। সাংবাদিকতায় নিচ থেকে ওপরে কিভাবে উঠা যায়, তার অনন্য উদাহরণ তিনি। সাংবাদিকতার প্রতি অনেক নিষ্ঠাবান ছিলেন।