গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম দাবি সংস্কার ছিলো উল্লেখ করে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, আমরা কেউ কেউ হয়তো এখন সংস্কারের কথা ভুলে যাচ্ছি। আবার কেউ কেউ বলার চেষ্টা করছে যে, সংস্কার আরও পরে হলেও হবে।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে সুশাসনের জন নাগরিক আয়োজিত ‘সংস্কার কমিশনের অগ্রাধিকারভিত্তিক প্রতিবেদন পেশ: তারপর কী’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে আবার কেউ যেন স্বৈরাচারী হতে না পারে এমন দাবি ছিলো জানিয়ে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আবার যেনো স্বৈরাচার ফিরে না আসে, নেভার-এভার এগেইন। আর কোনদিন নয় এই স্বৈরাচার, কর্তৃত্ববাদী ব্যবস্থা, ফ্যাসিবাদ যেটাই বলতে চাই। তার জন্যই সংস্কার দরকার। আমরা হয়তো কেউ কেউ ভুলে গেছি আবার কেউ কেউ বলার চেষ্টা করছে যে, সংস্কার আরও পরে হলেও হবে। হ্যা, পরে কিছু কিছু সংস্কার করতে হবে কিন্তু আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, আমাদের অন্যতম দাবি ছিলো গভীর সংস্কার। যাতে পুরনো কর্তৃত্ববাদী, ফ্যাসিবাদী সরকারের আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে। তাই সংস্কারের পক্ষে ব্যাপক জনমত সৃষ্টি করতে হবে। গণমাধ্যম এখানে খুবই ভালো ভূমিকা পালন করছে।
বৈষম্যের অবসান এই অভ্যুত্থানের অন্যতম আরেক দাবি ছিল জানিয়ে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, আমাদের বৈষম্য দিন দিন আকাশচুম্বী হচ্ছে, অর্থনৈতিক বৈষম্য তো দিন দিন বেসামাল পর্যায়ে যাচ্ছে। এই বৈষম্যের অবসান করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের এই অভ্যুত্থানের পেছনে আরও একটি কারণ ছিলো। যারা অপকর্ম করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। যারা মানবতাবিরোধী অপরাধ, অর্থনৈতিক অপরাধ এবং অন্যান্য ফৌজদারি অপরাধ করেছে তাদের ন্যায়বিচারের মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনা।
নির্বাচনী সংস্কারে প্রধান উপদেষ্টার কাছে খসড়া কিছু মতামত জমা দেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা বলেছি, নো ইভিএম। এবং ইভিএম যারা করেছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া উচিত।
নির্বাচনে না ভোটের বিধান যুক্ত করার বিষয়েও প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।