পদ্মাসেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা-খুলনা-ঢাকা রুটে খুলনা থেকে ঢাকায় ট্রেনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের উদ্দেশে খুলনা স্টেশন ছেড়েছে জাহানাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনটি, যা সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে এর উদ্বোধন করবেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মাদ ফাওজুল কবির খান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রেলপথ মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ দুটি ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে গত শনিবার। টিকিট কেনা যাচ্ছে অনলাইনে এবং নির্ধারিত স্টেশনের কাউন্টার থেকে। দুটি ট্রেনেরই সাপ্তাহিক বিরতি থাকবে সোমবার।
এর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-যশোর-খুলনা-বেনাপোল রুটে নতুন দুই জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, খুলনা-ঢাকা-খুলনা রুটে ‘জাহানাবাদ এক্সপ্রেস’ এবং বেনাপোল-ঢাকা-বেনাপোল রুটে ‘রূপসী বাংলা’ এক্সপ্রেস সাপ্তাহিক একদিনের বিরতি রেখে নিয়মিত যাতায়াত করবে। এ রুট চালু হওয়ায় যাতায়াতের সময় কমেছে। নতুন চালু করা এ ট্রেনে মাত্র পৌনে চার ঘণ্টায় ঢাকা থেকে খুলনা অথবা বেনাপোল পৌঁছানো যাবে। অথচ বর্তমানে ট্রেনে ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল-ঈশ্বরদী হয়ে খুলনা যেতে সময় লাগে ৯ ঘণ্টা ৩০ মিনিট এবং রাজবাড়ী হয়ে বেনাপোল যেতে লাগে ৭ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট।
নতুন ট্রেনের মধ্যে জাহানাবাদ এক্সপ্রেস (৮২৫) খুলনা থেকে ভোর ৬টায় ছেড়ে ঢাকায় পৌঁছাবে সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে, আর ৮২৬ নম্বর ট্রেনটি ঢাকা থেকে রাত ৮টায় ছেড়ে খুলনা পৌঁছাবে রাত ১১টা ৪০ মিনিটে।
যাত্রাপথে ট্রেনটি নোয়াপাড়া, সিঙ্গিয়া জংশন, লোহাগাডা, কাশিয়ানী জংশন এবং ভাঙ্গা জংশন স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে।
এদিকে, রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস (৮২৮) সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা ছেড়ে বেনাপোলে পৌঁছাবে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে এবং বেনাপোল থেকে ৮২৭ নাম্বার ট্রেনটি দুপুর সাড়ে ৩টায় বেনাপোল ছেড়ে ঢাকায় পৌঁছাবে সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে।
যাত্রাপথে ট্রেনটি যশোর জংশন, নড়াইল, কাশিয়ানী জংশন ও ভাঙ্গা জংশন স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে। ট্রেন দুটিতে ১২টি কোচে মোট ৭৬৮টি আসন থাকবে।