বাংলাদেশের সীমান্তে যে অশান্তি, নির্যাতন ও হত্যার চিত্র দেখা যায়, তা আমাদের ভাবতে বাধ্য করে যে ভারত কখনোই আমাদের প্রকৃত বন্ধু হতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মাওলানা মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুর ২টায় বরিশাল টাউন হলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নগর সম্মেলন’২৫ অনুষ্ঠিত হয়। মহানগর সভাপতি প্রফেসর মোঃ লোকমান হাকীম সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে এই কথা বলেন পীর সাহেব চরমোনাই।
এ সময় সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, বন্ধুত্বের নাম দিয়ে শাসকগোষ্ঠী দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিলেও সীমান্ত সমস্যার সমাধান হয়নি। এর বিপরীতে আমাদের কৃষি, বাণিজ্য, এবং নদীর পানি ব্যবহারসহ নানা ক্ষেত্রে ক্ষতির শিকার হতে হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ এ অন্যায় কখনো মেনে নেবে না।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সংগ্রাম ও ত্যাগের ইতিহাস। ১৯৪৭-এ রক্ত দিলেও পেয়েছে পাকিস্তানি শোষণ, ১৯৭১-এ রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা আনলেও সাম্য, মানবিক মর্যাদা, ও ন্যায়বিচার অধরাই রয়ে গেছে। স্বাধীনতার ৫৩ বছরে জনগণ বারবার রক্ত ঝরিয়ে অধিকার চেয়েছে, কিন্তু শাসকেরা লুটেরা ও ফ্যাসিস্টের ভূমিকায় আবির্ভূত হয়েছে। এ জাতি আর শোষণ নয়, ন্যায়ের বাংলাদেশ চায়।
চরমোনাই শায়েখ মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, বাংলাদেশ ভারতীয় আধিপত্যবাদকে পরোয়া করে না। ভারতের চোখে চোখ রেখে কথা হবে, কোনো নতজানু পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণযোগ্য নয়। জনগণ দিল্লির কূটকৌশলকে প্রত্যাখ্যান করেছে। যদি আবারও কেউ ভারতের মদদে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করে, জাতি তাকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করবে।
তিনি বলেন, ২৪-এর অভ্যুত্থান হাজারো ছাত্র-জনতার ত্যাগের ফল। বহু মানুষ জীবন দিয়েছে, কেউ পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। তাদের রক্ত বৃথা যেতে দেওয়া হবে না। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাজপথের দল হিসেবে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে দেশের স্বার্থে আপোষকারী যেকোনো শক্তির বিরুদ্ধে আমরা দাঁতভাঙা জবাব দেব ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় সভাপতি ইউসুফ আহমাদ মানসুর, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ বরিশাল মহানগর, সভাপতি মাওলানা ওবায়দুর রহমান মাহাবুব প্রমুখ।
সম্মেলন শেষে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল মহানগর কমিটি ঘোষণা করা হয়। নতুন কমিটিতে সভাপতি হিসেবে মনোনীত হয়েছেন প্রফেসর মোঃ লোকমান হাকীম, সহ-সভাপতি, মাওলানা নাছির আহমাদ কাওছার, সহ-সভাপতি,মাওলানা জাকারিয়া হামিদী ও সেক্রেটারী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন মাওলানা আবুল খায়ের।