সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি জামায়াত আমিরের

বিবিধ, রাজনীতি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা | 2024-12-24 19:40:51

ধর্মের ভিত্তিতে কোনো বিভাজন নয় জানিয়ে জামায়াতের ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, মসজিদ যদি পাহারা দেওয়া না লাগে, তবে মন্দিরও পাহারা দেওয়া লাগবে না। সকলেই শান্তিতে সহাবস্থান করবে।

এসময় তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন, অত্যাচার, বাড়িঘর লুটপাটের আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করেন।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে গাইবান্ধা ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জামায়াত ইসলামীর গাইবান্ধা জেলা শাখার কর্মী সম্মেলনে এসব কথা বলেন জামায়াত আমির।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে সাম্যের, বৈষম্যহীন। সবক্ষেত্রেই বৈষম্য দূর করতে হবে, যেখানে সংখ্যাগুরু, সংখ্যালঘুর ধর্মীয় ভেদাভেদ থাকবে না। সব মানুষই দেশের নাগরিক হিসেবে পরিচিত হবে।

তিনি বলেন, ধর্মের ভিত্তিতে কোনো বিভাজন করা হবে না। মসজিদ যদি পাহারা দেওয়া না লাগে তবে মন্দিরও পাহারা দেওয়া লাগবে না, সকলেই শান্তিতে সহাবস্থান করবে।

শফিকুর রহমান বলেন, শেখ হাসিনার সরকার যদি দফায় দফায় আমাকে জেলে না দিত তাহলে মজলুমদের জুলুমের দৃশ্য সরাসরি আমার পক্ষে দেখা সম্ভব হতো না। মিথ্যুকরা বলে আয়না ঘর বলে কিছু ছিল না, আয়না ঘর তো স্বচক্ষে আমি দেখেছি। শেষবার যেখানে আমাকে নিয়ে রাখা হয়েছিল একই বিল্ডিংয়ে আয়না ঘর ছিল। আয়না ঘরের লোকগুলোকে মাঝে মাঝে নামিয়ে আমার পাশের সেলে রাখতো। ওরা অসহায়ের মত তাকিয়ে থাকতো। আমি তাদের চেহারা স্টাডি করার চেষ্টা করতাম। পরবর্তী পর্যায়ে ওদের কাউকে কাউকে কোর্টে চালান দিয়ে জেলে পাঠিয়েছে।

তিনি বলেন, অফিস-আদালত থেকে ঘুষ-দুর্নীতি নির্মুল করতে হবে। চাঁদাবাজি, দখলদারি বন্ধ করতে হবে। এজন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।

জেলা জামায়াতের আমির মো. আব্দুল করিমের সভাপতিত্বে কর্মী সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল, জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর ডা. আব্দুর রহীম সরকার, সিনিয়র নায়েবে আমীর বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়ারেছ সরকার, জেলা সেক্রেটারি জহুরুল হক সরকার, সহকারী সেক্রেটারি সৈয়দ রোকনুজ্জামান প্রমুখ।

Related News