রহমত শাহ আর হাশমতউল্লাহ শহিদির জুটি জমে উঠেছিল রীতিমতো। কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছিল বাংলাদেশকে। এরপরই ভোজবাজির মতো পরিস্থিতি বদলে গেল যেন। পরের ৫ বলে গেল ৩ উইকেট। ১১৮/২ থেকে আফগানিস্তানের স্কোরকার্ড চোখের পলকে বনে গেল ১১৯/৫।
রহমতের সঙ্গে হাশমতউল্লাহর জুটি ফিফটির দিকে এগোচ্ছিল। এই জুটিটা ভাঙেন মুস্তাফিজুর রহমান। তার শর্ট বল হুক করে ছক্কা হাঁকাতে গিয়েছিলেন আফগান অধিনায়ক শহিদি। তবে ফাইন লেগে বাউন্ডারিতে থাকা শরিফুল ইসলামের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ৪৮ রানের জুটিটা ভাঙে তাতে। পরের ওভারের দ্বিতীয় বলে নাসুম আহমেদ বোল্ড করেন আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে।
৩ বলে ২ উইকেট তুলে নিয়ে আফগানদের চাপে ফেলে দেয় বাংলাদেশ। সেই চাপ থেকেই কি-না পরের ভুলটা করল স্বাগতিকরা। শুরুতে একটা 'জীবন' পেয়ে রহমত ফিফটি করে ফেলেছিলেন। তাতে শঙ্কাও বাড়ছিল বৈকি! চাপে পড়ে ভুল করে অভিজ্ঞ এই ব্যাটারকে হারায় আফগানরা।
নাসুমের বল পয়েন্টে ঠেলে দিয়ে একটা রান বের করতে চেয়েছিলেন গুলবাদিন নাইব। তবে বদলি ফিল্ডার রিশাদ হোসেনের হাতে থাকায় শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদলান তিনি। ততক্ষণে নন স্ট্রাইকে থাকা রহমত শাহ পৌঁছে গেছেন স্ট্রাইক প্রান্তে।
দুই ব্যাটার এক প্রান্তে চলে যাওয়ার সুযোগ নিতে ভুল করেনি বাংলাদেশ। রিশাদ থেকে বলটা জাকেরের হাতে গেলেও এক মুহূর্ত দেরি না করে তিনি বলটা বাড়ান স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা নাসুমকে। ততক্ষণে রহমত ওপাশে হাল ছেড়েই দিয়েছেন। নাসুম স্টাম্প ভাঙলে ৭৬ বলে ৫২ রানের ইনিংস শেষ হয় রহমতের। ৫ বল আর ১ রানের ব্যবধানে তিন উইকেট খুইয়ে অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়ে আফগানিস্তান।