শেষ বলে বরিশালের প্রয়োজন ছিল ২ রান। ব্যাটার রুয়েল মিয়া বলে ব্যাট ছোঁয়াতে না পারলেও রানের জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেন, তবে উইকেটের পেছন থেকে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের দারুণ এক থ্রো সরাসরি নন স্ট্রাইকের স্টাম্প ভাঙে। ১৩০ রানের পুঁজি নিয়ে ১ রানের শ্বাসরুদ্ধকর এক জয় নিশ্চিত হয়ে যায় খুলনার।
ম্যাচের শেষ ওভারে ৯ রান প্রয়োজন ছিল বরিশালের। সে ওভারের শেষ বলে রান আউট তো আছেই, এর আগের দুই বলেও দুটো রানআউটে হাত ছিল সোহানের।
শুধু কি উইকেটরক্ষণ? ব্যাট হাতেও তো সোহান ছিলেন খুলনার ত্রাতা। ৩৫ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি, যা আবার খুলনার ইনিংসের সর্বোচ্চ রান। শেষের আগের বলে আউট হয়েছেন তিনি দলকে লড়াকু পুঁজি এনে দেওয়ার নিশ্চয়তা দিয়ে।
তিনি বাদে খুলনার কেউই বড় রান করতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪ রান এসেছিল এনামুল হক বিজয়ের ব্যাট থেকে। বরিশালের হয়ে কামরুল ইসলাম রাব্বি ২৩ রান খরচায় নেন ৪ উইকেট। ৯ উইকেট খুইয়ে ১৩০ রান তোলে খুলনা।
জবাবে আবদুল মজিদের ফিফটি স্বত্বেও ৬৬ রানে ৫ উইকেট খুইয়ে বিপাকে পড়ে যায় বরিশাল। তবে এরপর মইন খানের ২৭ বলে ৪৩ রানের ইনিংস কক্ষপথে রেখেছিল দলটাকে। এরপর ওই শেষ ওভারের নাটক, শেষ তিন বলে তিন উইকেট খুইয়ে ১২৯ রানে আটকে যায় দলটা। খুলনা পায় ১ রানের রুদ্ধশ্বাস এক জয়।