সিরিজ জিতে নিয়েছিল আগেই। তবে বাকি ছিল হোয়াইটওয়াশের তৃপ্তি। ওয়ান্ডারার্সে শেষ ওয়ানডে জিতে সেই আনন্দেও ভাসল পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদেরই মাটিতে হোয়াইটওয়াশ করল দলটি।
শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের পেয়েছে ৩৬ রানে। বিশ্বের প্রথম দল হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদের মাটিতে ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ করার কীর্তি এখন তাদের। অথচ এমন ম্যাচেই কীনা অনাকাংখিত এক রেকর্ডের মালিক বনে গেলেন আব্দুল্লাহ শফিক।
দুর্ভাগাই বলতে হবে তাকে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ওয়ানডের তিনটিতেই কোন রান না করেই আউট শফিক। টি-টোয়েন্টিতে এ বছর চারটি ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়েছেন তিনি। তার পথ ধরেই পাকিস্তানি এ ওপেনার দেশটির হয়ে এক বছরে সর্বোচ্চ শূন্য রানে আউটের তিক্ত রেকর্ড গড়লেন!
২০২৫ সালে ২১ ইনিংস খেলে সাতটিতে শূন্য রানে আউট শফিক। ২০০০ সালে ইমরান নাজির ৩২ ইনিংসে ছয়বার ও ২০১২ সালে মোহম্মদ হাফিজ ৪৩ ইনিংসে সমান সংখ্যকবার ডাক পেয়েছিলেন। এবার শূন্য রানে আউটের এই রেকর্ড শফিকের।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টানা ব্যর্থতায় দ্বিপক্ষীয় সিরিজে সর্বোচ্চবার শূন্য রানে আউটের রেকর্ডও শফিক। এই রেকর্ডে তার সঙ্গী ভারতের সূর্যকুমার যাদব। ২০২৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠে টানা তিন ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন তিনি। এবার তার তিক্ত রেকর্ডে ভাগ বসালেন শফিক। তাদের আগে এক সিরিজে তিনবার শূন্য রানে আউট হয়েছেন ১৩ জন ব্যাটার!
বিশ্ব ক্রিকেটে এক বছরে সবচেয়ে বেশিবার শূন্য রানে আউটের রেকর্ড হার্শেল গিবসের। ২০০২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকান এই ব্যাটার ৫১ ইনিংসে আটবার ও ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কার তিলকরত্নে দিলশান ৫৬টি ইনিংসে আট বার শূন্য রানে আউট হয়ে ফিরেছেন সাজঘরে।