এ যেনো মরার উপর খাড়ার ঘা! রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কারণে দেশে প্রবেশে বাধা ছিল। যে কারণে তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলা নিয়ে সংশয় ছিল। এরপর এবার সাকিব আল হাসানের ওপর আরোপিত হলো আর্ন্তজাতিক নিষেধাজ্ঞা। বোলিং টেস্টে দ্বিতীয় বারের মতো অসঙ্গতি ধরা পড়ায় আপাতত আর্স্তজাতিক বোলিং ক্যারিয়ার প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল দেশের ক্রিকেটের পোস্টারবয় খ্যাত সাকিবের।
এক বছরের জন্য বল করতে পারবেন না সাকিব। ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলা চালিয়ে যেতে পারবেন।
চেন্নাইয়ে নেওয়া টেস্টে সাকিব আল হাসানের বোলিং অ্যাকশন বৈধতা পায়নি। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, পরপর দুইটি বোলিং টেস্টে ব্যর্থতার কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বল করতে পারবেন না সাকিব। তবে লাল-সবুজের জার্সিতে ব্যাট হাতে মাঠে নামতে বাধা নেই তার।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমের কাছে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, জাতীয় দলের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের ওপর ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) অধীন প্রতিযোগিতায় বোলিং করার নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে। গত মাসে ভারতের চেন্নাইয়ে শ্রী রামচন্দ্র স্পোর্টস সায়েন্স সেন্টারে পুনর্মূল্যায়নের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং নিষেধাজ্ঞাও বহাল থাকছে সাকিবের জন্য। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড নিশ্চিত করেছে, পরবর্তী বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে উঠে যাবে নিষেধাজ্ঞা।
অভিষেকের পর দুই দশক পর ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেটে খেলতে গিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ অ্যাকশনে বোলিং করার অভিযোগ ওঠে সাকিবের বিরুদ্ধে। সেটাই বড় ক্ষতির কারণ হয়ে গেল!