জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে কানাডায় অবস্থিত টিকটকের সব কার্যালয় বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সরকার। তবে দেশটির নাগরিকরা টিকটক অ্যাপটি ব্যবহার এবং এতে কনটেন্ট পোস্ট করতে পারবেন।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে বুধবার (৬ নভেম্বর) চীনা মালিকানাধীন টিকটকের কানাডায় অবস্থিত সব কার্যালয় বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কানাডার উদ্ভাবন, বিজ্ঞান ও শিল্পমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া-ফিলিপ শ্যামপেইন বলেন, টিকটকের মূল কোম্পানি বাইটড্যান্সের কার্যক্রম সম্পর্কিত নির্দিষ্ট জাতীয় নিরাপত্তার ঝুঁকি মোকাবিলা করতে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার।
চীনভিত্তিক বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন হওয়ায় নজরদারি রয়েছে টিকটকের ওপর। তবে কানাডায় টিকটক ব্যবহারের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে না। কারণ, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ্লিকেশন বা প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত একটি ব্যক্তিগত পছন্দ, বলেন তিনি।
গত বছর সব সরকারি ডিভাইস থেকে টিকটক নিষিদ্ধ করেছিল কানাডা এবং অ্যাপ্লিকেশনটির নিরাপত্তা পর্যালোচনা শুরু করেছিল।
শ্যামপেইন বলেন, এই সিদ্ধান্তটি একটি আইন অনুসারে নেওয়া হয়েছে, যা বিদেশি বিনিয়োগগুলোর পর্যালোচনা করার অনুমতি দেয়। কানাডার জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে সেসব কোম্পানিকে পর্যালোচনা করে কানাডা।
এ বিষয়ে টিকটকের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা এই সিদ্ধান্তকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করবে। টিকটকের কানাডার অফিস বন্ধ করা এবং শত শত কর্মসংস্থান ধ্বংস করা কারোরই জন্য ভালো হবে না।
কেবল কানাডা নয়, বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন থাকলে টিকটককে যুক্তরাষ্ট্রেও নিষিদ্ধ করা হবে। এরই মধ্যে এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে কোম্পানি ফেডারেল আপিল কোর্টে লড়াই করছে টিকটক। এটি বাক স্বাধীনতার অধিকার লঙ্ঘন করে বলে দাবি করছে কোম্পানিটি।
যুক্তরাষ্ট্রের সরকার অভিযোগ, টিকটক বেইজিংকে ব্যবহারকারীদের ডেটা সংগ্রহ করতে এবং তাদের ওপর নজরদারি চালাতে অনুমতি দেয়। এমনকি এই অ্যাপটি গুজব ছড়ায়।