শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাবিতে ছাত্র ইউনিয়নের মোমবাতি প্রজ্বলন

  • জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছাত্র ইউনিয়নের মোমবাতি প্রজ্বলন/ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র ইউনিয়নের মোমবাতি প্রজ্বলন/ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে শহীদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বলন ও এক মিনিট নিরাবতা পালন করেছে জাবি ছাত্র ইউনিয়নের একাংশ।

শনিবার (১৪ ই ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্বলন ও নিরাবতা পালন করে শহীদদের সম্মান প্রদর্শন করে সংগঠনটির নেতা-কর্মীবৃন্দ৷

বিজ্ঞাপন

এসময় সংগঠনটির জাবি শাখার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আলিফ মাহমুদ বলেন, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা এই বাংলাদেশ পেয়েছি। বিজয়ের যে লক্ষ্য তার বিপরীতে দেশ ও জনগণের ভবিষ্যৎ নিয়ে সরকার তামাশা করছে। দেশের ক্রান্তিলগ্নে বুদ্ধিজীবিদের যে ত্যাগ তারই স্বরণে আজকের এই শ্রদ্ধা নিবেদন। দেশ স্বাধীন হলেও মানুষের অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তি আসেনি।

তিনি আরও বলেন, সংবিধানের মূলনীতি তথা জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র ও গণতন্ত্র আজ ভূলন্ঠিত৷ আদিবাসীদের দেয়া হয়নি জাতিগত স্বীকৃতি৷ মানুষের বাকস্বাধীনতা নেই৷ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস এবং বিজয় দিবসের শিক্ষা নিয়ে রাষ্ট্র ও সমাজে মুক্তবুদ্ধির চর্চা হোক, নিপিড়ন নিপাত যাক এই প্রত্যাশা কামনা করি।

বিজ্ঞাপন

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ইমন বলেন, ৭১ এর স্বাধীনতার আগে পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে৷ পাকিস্তানিদের প্রেতাত্মা জামায়াত-শিবির এখনো দেশ বিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত৷ তাদের সেই নোংরা রাজনীতি রুখে দেয়ার জন্য সকলের প্রতি আমার আহ্বান৷

তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা ছিল একটা শোষণ বৈষম্যহীন বাংলাদেশের৷ যেখানে সব থালায় ভাত থাকবে, সব হাতে থাকবে কাজ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল একটা সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশের যেখানে প্রতিটি শিশুর শিক্ষা ও সুন্দর আগামী নিশ্চিত থাকবে। শিক্ষা-গণতন্ত্র-সমাজ-প্রগতির এই লড়াই আজও শেষ হয়নি। কাংখিত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন তার ঐতিহাসিক দায়িত্ব হিসেবে এই লড়াইকে জারি রাখবে৷