বিদ্যুতের বিশেষ বিধান আইন বাতিল

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিদ্যুতের বিশেষ বিধান আইন বাতিল

বিদ্যুতের বিশেষ বিধান আইন বাতিল

বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বিধান বৃদ্ধি (বিশেষ আইন) আইন-২০১০ বাতিল করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

২৮ নভেম্বর এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশটির মুদ্রণ প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘যেহেতু সংসদ ভাঙিয়া যাওয়া অবস্থায় রহিয়াছে এবং রাষ্ট্রপতির কাছে ইহা সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হইয়াছে যে আশু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি বিদ্যমান রহিয়াছে, সেহেতু সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারি করিলেন’।

গেজেটে বলা হয়েছে, ‘উক্তরূপ আইন রোহিতকরণের অব্যবহিত পূর্বে উক্ত আইনের আওতায় সম্পাদিত চুক্তি বা সম্পাদিত চুক্তির অধীন গৃহীত কোনো ব্যবস্থা বৈধভাবে সম্পাদিক বা গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে’। উক্ত আইনের আওতায় সম্পাদিত চুক্তির অধীনে চলমান কোন কার্যক্রম এমনভাবে অব্যাহত থাকিবে অথবা নিষ্পন্ন করিতে হইবে যেন উক্ত আইন রহিত হয় নাই।

বিজ্ঞাপন

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট মোকাবিলার কথা বলে ২০১০ সালে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন’ প্রণয়ন করে সরকার। শুরুতে দুই বছরের জন্য আইনটি করা হলেও পরে ২০১২ সালে ২ বছর, ২০১৪ সালে ৪ বছর, ২০১৮ সালে ৩ বছর এবং সর্বশেষ ২০২১ সালে ৫ বছরের জন্য এর মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। আইনটির ৯ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, ‘এই আইনের অধীন কৃত বা কৃত বলিয়া বিবোচিত কোনো কার্য, গৃহীত কোনো ব্যবস্থা, প্রদত্ত কোনো আদেশ বা নির্দেশের বৈধতা সম্পর্কে কোনো আদালতের নিকট প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।’ সমালোচনার মুখেও দফায় দফায় আইনটি নবায়ন করা হয় এবং এর অধীনে অনেকগুলো চুক্তি করা হয়।

অন্তবর্তী সরকার গঠনের পর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি ১৮ আগস্ট মন্ত্রণালয়ে প্রথমদিন অফিসে এসেই ঘোষণা দেন, বিশেষ বিধান আইনে আর নতুন কোন প্রকল্প নেওয়া হবে না। যে সব প্রকল্প চুক্তির প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, সেগুলো বন্ধ থাকবে। দায়মুক্তির বিধান নামে পরিচিত এই বিশেষ আইনে ইতোমধ্যে সম্পাদিত চুক্তিগুলো বহাল থাকবে। আইন বাতিল করার বিষয়টি আমার একার বিষয় নয়। এজন্য উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।