সন্ধ্যে থেকে খবর উস্তাদ জাকির হুসেনের মৃত্যু হয়েছে। শোকের ছায়া চারিদিকে। তারকারা একে একে প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেছেন। তবে জানা গেলো তিনি নাকি মারা যাননি। ভর্তি আছেন আইসিইউতে।
বিজ্ঞাপন
তিনি মারা জাননি বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের কাছে দাবি করেছেন তাঁর বোন খুরশিদ।
জানা গেছে, ৭৩ বছর বয়সী এই মার্কিন সংগীতশিল্পীর রক্তচাপের সমস্যা ছিল। গত সপ্তাহ থেকে হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিয়ে সান ফ্রান্সিসকোর একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
এর আগে, তবলা বাদক জাকির হুসেন হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিয়ে সান ফ্রান্সিসকোর একটি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার বন্ধু তথা বাঁশিবাদক রাকেশ চৌরাসিয়া।
বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় সুরকার এফ এ প্রীতম। তার সুর ও সঙ্গীত আয়োজনের মধ্যে "কালাচান" গানটি ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে দুই বাংলার সংগীত প্রেমিদের। সুর ও সঙ্গীত আয়োজনের পাশাপাশি সম্প্রতি আবারো তিনি আলোচনায় এসেছেন নিজের কন্ঠে গান প্রকাশ করে।
এবার "হাবিবি" শিরোনামে একটি দ্বৈত গানে এফ এ প্রিতমের সাথে কন্ঠ দিয়েছেন তাহান খান। প্রীতম, তাহান ও ইলিয়াস তিনজনের সমন্বিত কথায় গানটিতে যুক্ত হয়েছে ভিন্ন মাত্রা। গানের সুর করেছেন প্রীতম নিজেই। যার সঙ্গীত আয়োজন করেছেন শোভন রায়।
পাভেল মাহমুদের পরিচালনা ও রোহান বিল্লার নির্দেশনায় গানের ভিডিওতে অভিনয় করেছেন আসরিন, প্রীতম ও তাহান। ঢাকার নান্দনিক বিভিন্ন স্থানে করা হয়েছে এর চিত্রধারণ। বড় পরিসরে নির্মিত মিউজিক ভিডিও সহ গানটি প্রকাশিত হচ্ছে নতুন বছরে শুরুতেই।
গানটি প্রসঙ্গে এফ এ প্রীতম বলেন, জনপ্রিয় শিল্পীদের মধ্যে অনেকেই আমার সুরে নিয়মিত গান করছেন। তবে নতুনদের নিয়ে কাজ করতে সবসময়ই আনন্দ বোধ করি। নতুন শিল্পী তাহান খানকে সাথে নিয়ে আমার গাওয়া "হাবিবি" গানটি আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সুরকার হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি এখন থেকে নিজের কন্ঠেই নিয়মিত গাইবেন প্রীতম। আধুনিক মিউজিক ও ভিন্ন আঙ্গিকে বাংলা গানকে তুলে ধরতে বড় পরিসরে বেশ কয়েকটি গানের কাজ নিয়ে ব্যস্ততার কথাও জানালেন ভক্তদের।
ঢাকাই সিনেমার বাজার বেশ মন্দা। তাই নতুন সিনেমার খবরও সেভাবে নেই। তারকাদের হাতেও নতুন সিনেমা আসছে না বললেই চলে। আলোচিত-সমালোচিত নায়িকা পরীমণিও দীর্ঘদিন নতুন ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হতে পারছেন না।
তাই জীবিকা নির্বাহের জন্য ব্র্যান্ড ইমেজকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি। সঙ্গে চলছে ফেসবুক কনটেন্ট আপলোড। নিয়মিত ফেসবুকে ভিডিও প্রকাশ করেন এই নায়িকা। বিপুল সংখ্যক (দেড় কোটির বেশি) ফলোয়ারসমৃদ্ধ নিজের ফেসবুক পেজে পরী আজও আপলোড দিয়েছেন তার মেয়ের একটি আদুরে ভিডিও। তাতে এরইমধ্যে প্রায় দুই মিলিয়ন ভিউজ হয়ে গেছে।
ব্যান্ড প্রমোশনের পাশাপাশি তারকারা স্টেজ শোতেও মন দিয়েছেন। অংশ নিচ্ছেন বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানে। যেমন, সম্প্রতি কাতারের একটি অনুষ্ঠানে দেখা যায় সুপারস্টার শাকিব খানকে। একই অনুষ্ঠানে ছিলেন অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনাও।
শাকিব খানের পর এবার পরীমণি যাচ্ছেন দেশের বাইরে পারফর্ম করতে, তাও আবার সেই একই দেশে। এ নিয়ে একটু আগেই নিজের ফেসবুকে পরী লিখেছেন, ‘আগামী ২০ ডিসেম্বর ২০২৪ শুক্রবার, আমি আসছি এশিয়ান টাউন এম্ফিথিয়েটার, দোহা, কাতারে। হ্যালো সুপারস্টার-এর আয়োজনে বাংলাদেশ দূতাবাস, কাতারের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশী রমিটেন্স যোদ্ধাদের সম্মানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ‘দি গ্র্যান্ড কালচারাল শো’ হতে যাচ্ছে। এই শোতে আমার সাথে দেশ ও বিদেশের আরও একঝাঁক নামি তারকারা থাকছেন। এই ‘গ্র্যান্ড কালচারাল শো’তে কাতারে অবস্থানরত সবার আমন্ত্রণ রইল।’
ঢালিউডের ইতিহাসে ‘বেদের মেয়ে জোসনা’কে বলা হয় সর্বকালের সবচেয়ে ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র। এই ছবিটির কথা এলেই যার চেহারাটি চোখের সামনে ভেসে ওঠে তিনি অঞ্জু ঘোষ। এই সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অনবদ্য অভিনয়ের মধ্য দিয়ে সে সময় দুই বাংলায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছেছিলেন তিনি। একটা সময় তুমুল ব্যস্ত সময় পার করা এই নায়িকা দীর্ঘ সময় ধরে কলকাতায় বসবাস করছেন। অনেক আগেই সিনেমাকে ইতি জানিয়েছিলেন।
তবে মাঝে দেশে এসেছিলেন। ঘুরে গিয়েছেন এফডিসি। তখন শোনা গিয়েছিল আবারও সিনেমায় সরব হবেন অঞ্জু ঘোষ। তবে অনেকটা বছর পেরিয়ে গেলেও তাকে আর পাওয়া যায়নি। গণমাধ্যমেও সেভাবে তাকে কথা বলতে দেখা যায় না।
এবার জানা গেল, নতুন সিনেমা নির্মাণ করতে যাচ্ছেন অঞ্জু ঘোষ। আপাতত চলছে গল্প ও চিত্রনাট্যের কাজ। সম্প্রতি দেশীয় এক গণমাধ্যমে এমনটাই জানালেন নায়িকা। তিনি বলেন, ‘একটি পরিপূর্ণ সিনেমাই বানাবো আমরা। দর্শক আমার এই সিনেমায় সুখ-দুঃখ-আনন্দ-বেদনা সবকিছুই দেখতে পাবেন।’
নতুন বছরে সিনেমাটির নির্মাণ কাজ শুরু করতে চান তিনি। এখন সেই প্রক্রিয়াই চলছে। সেই সঙ্গে জানালেন এতে মুম্বাইয়ের অভিনয়শিল্পীরা কাজ করবেন। নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অঞ্জু ঘোষ বলেন, কলকাতায় আমি বেশ ভালো আছি, শান্তিতে আছি। কাজ নিয়ে ব্যস্ত হচ্ছি। এটাই আমার জন্য বড় পাওয়া।
তবে মাঝে-মধ্যে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন তিনি। বিশেষ করে ইউটিউব চ্যানেলগুলোতে তাকে নিয়ে মিথ্যা-বানোয়াট খবর প্রকাশ করা হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
অঞ্জু বলেন, ‘যারা এসব মিথ্যাচার করছেন তাদের জানাতে চাই, অভিনয় করে আমি যে অর্থ, সম্মান অর্জন করেছি তাতে ভগবানের কৃপায় আমার পরের সাত প্রজন্ম চলে যেতে পারবে। যারা আমার অবস্থান নিয়ে মিথ্যাচার করছে তাদের জানাতে চাই, বর্তমানে আমি যে সল্টলেকের বাড়িতে থাকি তার বাজারমূল্য তারা অনুমান করতে পারবেন না। বাংলায় একটি প্রবাদ আছে- হাতি মরলেও লাখ টাকা। আর অঞ্জু ঘোষ হাজার বছরে একজনই জন্মায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘একমাত্র আমি ১৬ বছর বয়সে তিন তিনবার তাসখন্দ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সম্মানিত হয়েছি; যা একজন অভিনেত্রীর জন্য রেকর্ড। আমাকে নিয়ে বরেণ্য চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায় আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন সিনেমা করার। এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কী হতে পারে।’
১৯৮২ সালে এফ, কবীর চৌধুরী পরিচালিত ‘সওদাগর’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে অঞ্জু ঘোষের। ছবিটি ব্যবসায়িকভাবে সফল ছিল। ১৯৮৬ সালে ক্যারিয়ার বিপর্যয়ের মুখে পড়লেও তিনি ভালোভাবেই ফিরে আসেন। ১৯৮৭ সালে অঞ্জু সর্বাধিক ১৪টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এর পরের বছর অর্থাৎ ১৯৮৯ সালে অঞ্জু অভিনীত ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ রেকর্ড পরিমাণ ব্যবসা করে। চলচ্চিত্রটির মাধ্যমে অঞ্জু ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। তিনি মোট ৩০০টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেন।
পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় তারকা জুটি দেব ও রুক্মিণী মৈত্র। তাদের প্রেম-ভালোবাসার কথা সবারই জানা। বেশ আগেই প্রেমের কথা সবাইকে জানিয়েছেন তারা। এমনকি হ্যাপি প্রেমিকযুগলের তকমাও পেয়েছেন দেব-রুক্মিণী।
আগামী ২০ ডিসেম্বর মুক্তি পাচ্ছে দেব অভিনীত সিনেমা ‘খাদান’। বহুচর্চিত এই সিনেমা মুক্তির আগেই দেব- রুক্মিণীর সম্পর্ক নিয়ে টালিপাড়ায় চর্চা তুঙ্গে।
তবে হঠাৎ কি হলো দেব-রুক্মিণীর। আর কেনই বা ভালোবাসার মানুষকে ‘আনফলো’ করলেন রুক্মিণী। তবে কি চিড় ধরেছে তাদের সম্পর্কে? এবার রুক্মিণী এবং বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন দেব।
ইন্সটাগ্রামে দেবকে আনফলো করলেও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে দুজনকে দেখে একবারের জন্যও মনে হয়নি সম্পর্কে ভাঙন ধরেছে এই জুটির। ‘খাদান’ সিনেমার প্রচারণার কারণেই নাকি দেব-রুক্মিণীর মাঝে যত ঝামেলা।
এদিকে, বিষয়গুলো ভালোভাবে নিচ্ছেন না দেব। সকল বিতর্কে জল ঢেলে নিন্দুকদের একহাত নিলেন অভিনেতা। গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিয়ে কড়া জবাব দিয়েছেন তিনি।
দেব বলেন, রুক্মিণী আমাকে ইনস্টাগ্রামে ফলো করছে কি ফলো করছে না সেটা নিয়ে আমি দশজনকে কী উত্তর দেব। আমার সঙ্গে রুক্মিণীর সম্পর্কটা কী সেটা তো আমি কাউকে বলে বোঝাতে পারব না। রুক্মিণীর সঙ্গে আমার সম্পর্কটা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও সমৃদ্ধ হয়েছে, আরও মজবুত হয়েছে।
অভিনেতা আরও বলেন, কে কী বলল, কে কী লিখল, তাতে কিছু যায় আসে না। আমরা আমাদের ব্যক্তিগত জায়গায় খুব ভালো আছি, সুস্থ আছি। যেটা খুব দরকার। আমরা পরস্পরের কাজ নিয়েও খুব খুশি।
দেব জানান, ‘খাদান’ শুরুর আগে সরে দাঁড়ান এক প্রযোজক। সেসময়ই রুক্মিণী আগলে রেখেছিলেন অভিনেতাকে। তাই রুক্মিনী দেবের ‘শক্তি’।
তিনি বলেন, ‘রুক্মিণী বলেছিল, তোমার যখন ইচ্ছে হচ্ছে তুমি খাদানই করবে। তাই সেই মানুষটা আমাকে ইন্সটাগ্রামে ফলো করল কিনা সেটা নিয়ে কাউকে আমি বলে বোঝাতে পারব না।’