মানিকগঞ্জে গৃহবধূ হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মানিকগঞ্জে গৃহবধূ হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার

মানিকগঞ্জে গৃহবধূ হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার চাঞ্চল্যকর গৃহবধূ নুরজাহান হত্যার রহস্য উদঘাটনপূর্বক মৃতদেহ উদ্ধারের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা মো. আলিফ (২৭) কে গ্রেফতার করেছে মানিকগঞ্জ র‌্যাব-৪, সিপিসি-৩ এর একটি টিম।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) ভোরে মানিকগঞ্জ র‍্যাব ৪, সিপিসি ৩ এর কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার মোহাম্মদ আরিফ হোসেন প্রেস বিজ্ঞপ্তি'র মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বিজ্ঞাপন

নুরজাহান হত্যাকাণ্ডের একমাত্র আসামি আলিফকে টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার সলিমাবাদ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র‍্যাব। জেলার শিবালয় উপজেলার বোয়ালীপাড়া এলাকার মো. আতোয়ার রহমান ওরফে আকালির ছেলে আলিফ।

গ্রেফতারকৃত আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও ঘটনার বিবরণ উল্লেখ করে র‍্যাব জানান, ভিকটিম নুরজাহান ও বিবাদী আলিফ একই এলাকায় বসবাস করে এবং উভয়ই একে অপরের প্রতিবেশী।

বিজ্ঞাপন

ভিকটিমের স্বামীর সাথে বিবাদীর ব্যবসায়িক সম্পর্ক থাকায় বিবাদী প্রায়শই ভিকটিমের বাড়িতে যাতায়াত করত। এছাড়াও বিবাদী ভিকটিমের স্বামীর সাথে ব্যবসায়িক বিষয়ে যোগাযোগ রক্ষার্থে মাঝেমাঝে ভিকটিমের মোবাইলে যোগাযোগ করত।

উক্ত যোগাযোগের সূত্র ধরে ভিকটিম ও বিবাদীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে উভয়ের সম্মতিক্রমে তারা অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি ভিকটিমের স্বামী ও আশেপাশের লোকজনের কাছে জানাজানি হলে ভিকটিম ও ভিকটিমের স্বামীর মধ্যে মনোমালিন্য হয়।

অতঃপর ভিকটিমের স্বামী বিবাদীর সাথে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং বিবাদীকে ভিকটিমের সাথে কোনরুপ যোগাযোগ না করতে অনুরোধ করে। পরবর্তীতে ভিকটিম বিবাদীর সাথে বেশ কিছুদিন ধরে যোগাযোগ বন্ধ রাখলে বিবাদী ভিকটিমকে ফোন করে সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে এবং তার সাথে এক বারের জন্য হলেও দেখা করতে বলে।

ভিকটিম এক পর্যায়ে বিবাদীর অনুরোধে বিবাদীর কথা অনুযায়ী গত সোমবার রাতে বাড়ির পাশে বিল্লাল হোসেনের ঘাসের জমিতে দেখা করতে গেলে বিবাদীর পূর্ব পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিবাদী ভিকটিমের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে বিবাদীর সাথে থাকা ছুরি দিয়ে ভিকটিমের গলা, বুক ও পেট কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।

পরদিন দুপুরে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে মৃতদেহটি দেখতে পেয়ে শিবালয় থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে থানা পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে শিবালয় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে র‍্যাব তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামিকে গ্রেফতার করে শিবালয় থানা পুলিশে সোপর্দ করে।