ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি ইউনিট চালু হলো বায়তুশ শরফ হাসপাতালে
ডায়াবেটিস থেকে সৃ্ষ্ট চক্ষুরোগ ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির পরীক্ষা ও চিকিৎসায় কক্সবাজার জেলার একমাত্র বিশেষায়িত চক্ষু হাসপাতাল কক্সবাজার বায়তুশ শরফ হাসপাতালে চালু হলো নতুন একটি ইউনিট।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) সংস্থাটি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গত সোমবার (১৮ নভেম্বর) ওই হাসপাতালে এক অনুষ্ঠানে অরবিস ইন্টারন্যাশনালের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডেরেক হডকি ইউনিটটি উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে অরবিস ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. মুনির আহমেদ এবং বায়তুশ শরফ হাসপাতালের সাধারণ সম্পাদক এম এম সিরাজুল ইসলাম।
ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি পরীক্ষা ও চিকিৎসা ইউনিটটি প্রতিষ্ঠায় অরবিস ইন্টারন্যাশনাল অলাভজনক এ হাসপাতালকে একটি ফান্ডাস ক্যামেরা দিয়েছে, যেটি ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি, গ্লুকোমা ও ম্যাকুলার ক্ষয় নিরুপণে ব্যবহৃত হয়।
অনুষ্ঠানে সিরাজুল ইসলাম বলেন, নতুন ইউনিটটি কক্সবাজার ও পার্শ্ববর্তী জেলার ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি রোগীদের চিকিৎসার সুযোগ তৈরি করবে, যেখানে আগে এ ধরনের কোনো সুবিধা ছিল না।
ডেরেক বলেন, ভালোবাসা ও আন্তরিকতার সঙ্গে বায়তুশ শরফ হাসপাতাল বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে, যার জন্য এ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করতে পেরে অরবিস ইন্টারন্যাশনাল গর্বিত।
বায়তুশ শরফ হাসপাতাল গোটা কক্সবাজার জেলার মানুষদের চক্ষুসেবা দিচ্ছে, যেখানে ২০২২ সালের আদমশুমারি অনুসারে প্রায় ৩০ লাখ জনসংখ্যা রয়েছে। এদের মধ্যে ১০ লাখেরও বেশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক রয়েছে, যারা তাদের মাতৃভূমিতে চক্ষুসেবা থেকে বঞ্চিত ছিল।
ডা. মুনির বলেন, ভবিষ্যতে অরবিস বায়তুশ শরফ হাসপাতালের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে চায় কারণ চোখের স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা এ দুটি সংস্থা একসঙ্গে কাজ করলে অনেক কিছু করতে পারবে। অরবিস যে ফান্ডাস ক্যামেরাটি বায়তুশ শরফ হাসপাতালকে দিয়েছে সেটি ফান্ডাস বা চোখের পিছনের অংশ অর্থাৎ রেটিনা, অপটিক নার্ভ, ম্যাকুলা ও রেটিনা রক্তনালীর ছবি তোলার জন্য ব্যবহৃত হয়।
এ ছবির মাধ্যমে চক্ষু বিশেষজ্ঞরা ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি, গ্লুকোমা ও ম্যাকুলার ক্ষয়ের মতো রোগ নির্ণয় করতে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে পারেন।