অত্যাবশ্যকীয় সংস্কার শেষেই নির্বাচনের আশা মঈন খানের
অন্তর্বর্তী সরকার দেশকে গণতান্ত্রিকভাবে গড়ে তুলতে অত্যাবশ্যকীয় সংস্কার শেষে নির্বাচন দিবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জাতীয় শহীদ মিনারে জুলাই বিপ্লবে নিহত শহীদ পরিবার ও আহত ছাত্র-জনতার দীর্ঘমেয়াদী পুনর্বাসন নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সন্তান ও অভিভাবক সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, এই সরকার অত্যাবশকীয় যে সংস্কার, যার মাধ্যমে এই দেশকে নতুন করে গণতান্ত্রিকভাবে গড়ে তুলতে পারবো, সেই সংস্কারগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে দেশে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করবে এটাই আমার প্রত্যাশা।
ছাত্র জনতার আন্দোলন চে গুয়েভারার রোমান্টিক বিপ্লবের কথা আমাকে মনে করিয়ে দিয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, আমি বিশ্বাস করি মেডিকেল চিকিৎসার পাশাপাশি বাংলাদেশের সংস্কৃতিমনা যারা শিল্পী রয়েছে তারা তাদের কবিতা দিয়ে তাদের মনের যন্ত্রণা লাঘব করে দিবেন।
ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, বাংলাদেশের মানুষ প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে আমি মনে করি না। আমাকে কেউ জুলুম করেছে, অত্যাচার করেছে নিশ্চয় আমি তার সুবিচার চাই। কিন্তু আমি তার ফলশ্রুতিতে যদি প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে উঠি তাহলে আমি বিশ্বাস করি না তাহলে আমরা আমাদের বাংলাদেশীদের সঠিক চরিত্র প্রতিস্থাপন করবো। কাজেই সেই কথা স্মরণ রেখে আমরা এই দেশকে নতুন করে বিনির্মাণ করবো। ১৮ কোটি মানুষের দেশে প্রতিটি মানুষের মৌলিজ, গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনবো সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।
তিনি আরও বলেন, এই দেশে যারা সুবিধা বঞ্চিত মানুষের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার যে প্রয়োজনীয় সংস্কার, যে কাজ গুলো তারা সেই কাজগুলোর পাশাপাশি একদিকে সংস্কার চলবে আরেকদিকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার যে প্রচেষ্টা সেটাও চলবে। সরকার একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা নির্বাচন কমিশন নতুন করে গঠন করেছে। আমরা এটাকে অত্যন্ত ইতিবাচকভাবে দেখেছি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আমি একদিন আগে পত্রিকায় একটা রিপোর্ট দেখেছি, সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা দিয়ে বাংলাদেশের ৪টি ডুবন্ত ব্যাংককে উদ্ধার করা হবে৷ যাদের বিনিময়ে দ্বিতীয় স্বাধীনতা পেয়েছিল, যারা আত্মত্যাগ করেছেন তাদের পরিবারের কথায় বলুন, যারা আহত হয়েছেন, আজকে এখানে এসেছেন তাদের সুচিকিৎসার কথায় বলুন, বাংলাদেশ ব্যাংক যদি লুটপাট হয়ে যাওয়া ব্যাংকগুলোর জন্য সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা সংস্থান করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে, এখানে আমাদের আজকে কেন তাদের জন্য দাবি জানাতে হচ্ছে?