ব্যাংকে চাকুরি করে সোয়া ২ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন স্বামী-স্ত্রী
-
-
|

ছবি: সংগৃহীত
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের সোয়া ২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুদকের বাগেরহাট সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ সহকারী পরিচালক সমীরণ কুমার মণ্ডল বাদি হয়ে মামলাটি করেন।
মামলায় আসামিরা হলেন, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের রামপাল শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক হামিমা সুলতানা ও মাঠ সহকারী খান রুহুল আমিন। তারা দু’জন হলো স্বামী-–স্ত্রী। এই দম্পতিকে ব্যাংক থেকে ২০২২ সালে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বাগেরহাটের রামপালের ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন হামিমা সুলতানা। তার স্বামী খান রুহুল আমিন ছিলেন ওই শাখা অফিসের মাঠ সহকারীর দায়িত্বে ছিলেন। এক দশকের বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালনকালে তারা পরস্পর যোগসাজশে সদস্য বহির্ভূত ঋণ দেওয়া, ঋণ দেওয়ার সময় সদস্যদের সম্পূর্ণ টাকা না দেওয়া, ঋণ বা ঢেউটিন বিতরণের কথা বলে সদস্য বহির্ভূত ব্যক্তিদের কাছ থেকে পরিচয় পত্রসহ কাগজপত্র গ্রহণ করে ভুয়া ঋণ তৈরি করে গ্রাহকের দেওয়া কিস্তি থেকে টাকা রেখে মোট ২ কোটি ৩৮ লাখ ৪৭ হাজার ৮০২ আত্মসাৎ করেন। এর মধ্যে ৬৮ লাখ ৬৪ হাজার ৪৪৫ টাকা একক ভাবে আত্মসাৎ করেন হামিমা সুলতানা। এ ছাড়া খান নুরুল আমিন দায়িত্ব পালনকালে ঋণ বিতরণের সময় সদস্যকে স্বাক্ষর করিয়ে আংশিক অর্থ দিয়ে বাকি টাকা আত্মসাৎ করতেন। তিনি ব্যাংকের মোট ৩৯৪ জন সদস্যের ১ কোটি ৬৯ লাখ ৮৩ হাজার ৩৫৭ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
দুদকের বাগেরহাট সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের বরখাস্ত দুই কর্মকর্তার অর্থ আত্মসাতে অভিযোগ পেয়ে প্রায় এক বছর আগে দুদক অনুসন্ধানে নামে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে বিভিন্ন নথি পর্যালোচনায় পরস্পর যোগসাজশে অর্থ আত্মসাতের সত্যতা পাওয়া যায়, যা টাকার অঙ্কে ২ কোটি ৩৮ লাখ ৪৭ হাজার ৮০২। আসামিরা আত্মসাৎ সংশ্লিষ্ট সব রেকর্ডপত্র নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন। অর্থ আত্মসাৎসহ দুর্নীতির অভিযোগে দণ্ডবিধির কয়েকটি ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭এর ৫(২ ধারায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাকরিচ্যুত হামিমা সুলতানা ও খান রুহুল আমিনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদের পাওয়া যায়নি।