কক্সবাজারে ঐতিহ্যবাহী সাম্পানে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি
কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী সাম্পান বোটের সঙ্গে ফটোসেশন হলো আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির। বিশ্বভ্রমণের অংশ হিসেবে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রদর্শন করা হচ্ছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় এর অংশ হিসেবে সাম্পান বোটে ফটোসেশন করা হয়।
এরপর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে সীমান্ত সম্মেলনকেন্দ্র ঊর্মির সামনে সবারর জন্য উন্মুক্ত মঞ্চে প্রদর্শন করা হচ্ছে ট্রফি। যেটি বিকেল ৩টা পর্যন্ত প্রদর্শন করা হবে। সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে ট্রফি। নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে। মোতায়েন রয়েছে র্যাব এবং পুলিশ।
বিসিবির সিনিয়র ম্যানেজার মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন রাবীন ইমাম এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)-এর তত্ত্বাবধানে আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চ ২০২৫-এ পাকিস্তানে আইসিসি ম্যানস চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হতে যাচ্ছে। মূল ট্রফিটি উক্ত টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী দেশ সমূহে প্রদর্শনের অংশ হিসেবে গত ৯ ডিসেম্বর থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে থাকবে। কক্সবাজারে অবস্থানকালীন সময়ে সীমান্ত সম্মেলনকেন্দ্র ঊর্মি এর সম্মুখের সৈকতে ট্রফি প্রদর্শন করবে। সবারজন্য উন্মুক্ত থাকবে ট্রফি।
নিরাপত্তায় থাকা র্যাব-১৫ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাইফুল ইসলাম, র্যাবের ৩০ সদস্যদের একটি টিম নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছি। কোনো ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। সবাই আনন্দের সঙ্গে দেখছি আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি।
এদিকে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দিনক্ষণ ঘনিয়ে এলেও এখনো কাটেনি আয়োজন নিয়ে অনিশ্চয়তা। নির্ধারিত আয়োজক দেশ পাকিস্তানে ভারতের খেলতে যেতে না চাওয়া থেকেই মূলত সব সমস্যার শুরু। এখন পর্যন্ত কাটেনি এই জটিলতা।
দুই পক্ষের অনড় অবস্থানের কারণে অচলাবস্থা কবে কাটবে, তা–ও নিশ্চিত নয়। তবে এসবের মধ্যেও থেমে নেই আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির বিশ্বভ্রমণ।
জানা গেছে, ঢাকায় অবস্থানরত উৎসাহীরা চ্যাম্পিয়নস ট্রফি দেখতে পাবেন ১২ ডিসেম্বর পান্থপথের বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে। সেদিন জনসাধারণের দর্শনের জন্য ট্রফি রাখা হবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। পরদিন, অর্থাৎ ১৩ ডিসেম্বর ট্রফি যাবে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে। বেলা ১১টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ট্রফি সেখানে রাখা হবে।
এই প্রদর্শনী জাতীয় পুরুষ ও নারী ক্রিকেট দল, সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটার, ক্রিকেট কর্মকর্তা, সংগঠক এবং সংবাদমাধ্যমের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এপরই মূলত ট্রফিটি ঢাকা ছেড়ে যাবে। বাংলাদেশ ছাড়ার পর ট্রফিটি ১৫ থেকে ২২ ডিসেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকার কথা। এরপর অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড ঘুরে আগামী ১৫ জানুয়ারি ট্রফি যাবে ভারতে।