এমন হারে ব্যাটারদের ব্যর্থতাই সামনে এনেছেন মিরাজ
পুঁজি মাত্র ২২৭। সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে ৫০ ওভারের ম্যাচে গড় রান প্রায় তিনশর কাছাকাছি। সেখানে এতো কম রান নিয়ে বাংলাদেশ যে লড়তেই পারবে না সেটি তোঅআঁচ করা যাচ্ছিলই। পারেও নি বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে ৭৯ বল হাতে রেখেই।
সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৭ উইকেটে জয়ে এক ম্যাচ আগেই সিরিজ ২-০তে জিতে নিল উইন্ডিজ। ২০১০ সালের পর প্রথমবার বাংলাদেশকে এই ফরম্যাটে হারাল তারা। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ওয়ানডেত সিরিজ জয় অভ্যাসে পরিনত করে ফেলরেও এবার মিলল না সমীকরণ।
কারণ তো একটাই-ব্যাটিং উইকেটে ফ্লপ ব্যাটাররা। শেষ দিকে এসে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৯২ বলে ৬২ রানের ইনিংস না খেললে যে কী হতো। অবশ্য তানজিম সাকিবও লড়লেন। তার ব্যাটে আসে ক্যারিয়ারসেরা ৪৫ রান।
তারপরও লড়াকু পুঁজি আসেনি টপ অর্ডারদের ব্যর্থতায়। সেন্ট কিটসে মঙ্গলবার হারের পর অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ ব্যাটারদেরই দাঁড় করালেন কাঠগড়ায়, ‘জিততে এই উইকেটে তিনশর বেশি রান প্রয়োজন ছিল আমাদের। মাঝের ওভারগুলোয় ভালো ব্যাট করতে পারিনি। তেমন কোনো জুটি পাইনি। একের পর এক উইকেট হারিয়েছি। মাহমুদউল্লাহ ও তানজিম সাকিব ভালো করেছে। কিন্তু ভুল আমাদেরই ছিল।’
সঙ্গে ক্যারিবীয়দেরও প্রশংসা করলেন মিরাজ। তিনি বলেন, ‘দেখুন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ খুব ভালো বল করেছে। বিশেষ করে সিলসকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। ও খুব ভালো করেছে। আর রান করতে পারিনি আমরা। সম্ভবত ২০ রান ৪ উইকেট পড়েছে, এটাই ছিল সমস্যা। তারপরও আমাদের ভাবনা ছিল যে ঘুরে দাঁড়াতে পারব। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই ধরনের উইকেটে এই ২২৮ রান যথেষ্ট নয়। প্রথম ১০ ওভারে আমরা ভালো বল করেছি। ২২৮ রান নিয়ে এমন ধরনের উইকেটে বোলারদের কাজ কঠিন।’
এই ব্যর্থতার পর এখন বাংলাদেশের জন্য হোয়াইট ওয়াশ এড়ানোর লড়াই। বৃহস্পতিবার সেন্ট কিটসের এই ওয়ার্নার পার্কেই সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে নামবে দুই দল।