বিস্ফোরক জিসানের জবাব আরিফুলের ব্যাটে, শেষ বলে ছক্কায় জিতল ঢাকা
‘বিপিএলের প্রস্তুতি’ – এনসিএল টি-টোয়েন্টি শুরুর ঠিক আগে প্রায় সব দলেরই আবহ ছিল এমন। তবে মাঠের ক্রিকেট শুরুর প্রথম দিনই মনোযোগটাকে পুরোপুরি এনসিএলেই টেনে আনল ঢাকা-সিলেটের ম্যাচ। জিসান আলম তাণ্ডব চালিয়ে ৫৩ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন, সিলেট গড়ে ৪ উইকেটে ২০৫ রানের পাহাড়। এরপর দারুণ রোমাঞ্চ ছড়িয়ে ঢাকা ম্যাচটা জেতে শেষ বলে, শুভাগত হোমের ছক্কার কল্যাণে। তাতে প্রথম দিনে বড় একটা বিজ্ঞাপনই হয়ে গেল এনসিএল টি-টোয়েন্টির।
সিলেটের দুই মাঠে হবে এবারের এনসিএলের সব ম্যাচ। মূল মাঠে আজ ঢাকা মুখোমুখি হয়েছিল দীর্ঘতর ফরম্যাটের চ্যাম্পিয়ন সিলেটের। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সিলেট জিসানের কল্যাণে পেয়ে যায় উড়ন্ত সূচনা। ৪টি চার ও ১০টি ছক্কা হাঁকান জিসান। বিশেষ করে অফ-স্পিনার আরাফাত সানি জুনিয়রের একটি ওভারে পরপর পাঁচটি ছক্কাসহ ৩২ রান তুলে নিয়েছিলেন তিনি, ৮ বলের এদিক ওদিকে হাঁকান ৭টি ছক্কা।
তার সঙ্গে তাওফিক খান (২৯), চারদিনের ফরম্যাটের এনসিএলে সেরা খেলোয়াড় হওয়া অমিত হাসান (২৬) ও মাহফুজুর রহমান রাব্বি (৩০ অপরাজিত) গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন সিলেটের রানের পাহাড় গড়ায়।
তবে সিলেটের বুনো ওল যদি হয়ে থাকেন জিসান, তাহলে ঢাকাও জবাবটা দিয়েছে বাঘা তেঁতুলে। সেটা আবার জিসানেরই অনূর্ধ্ব ১৯ দলের সতীর্থ আরিফুল ইসলামের ব্যাটে। তার ৪৬ বলে ৯৪ রানের ইনিংস জয়ের ভিত গড়ে দেয় ঢাকার। আরিফুল ৮টি ছক্কা ও ২টি চারের সাহায্যে জিশানের সেঞ্চুরিকে ম্লান করে দেন। ম্যাচসেরার পুরস্কারও জিতে নেন তিনি।
শেষ ওভারে ১২ রান দরকার ছিল ঢাকার। পেসার তোফায়েল আহমেদের করা শেষ বলে ছক্কা মেরে শুভাগত (১৮ বলে ৩১ রান) ঢাকাকে জয় উপহার দেন। এর আগে ১৯তম ওভারে খালেদ আহমেদের ‘নো বল’-এর কারণে জীবন পান শুভাগত। আরিফুলের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং ও শুভাগতের অভিজ্ঞতা মিলে ঢাকার জয় নিশ্চিত হয়।
সকালের অন্য ম্যাচে সিলেটের একাডেমি মাঠে মুখোমুখি হয়েছিল ঢাকা মেট্রো ও বরিশাল বিভাগ। সে ম্যাচে ঢাকা মেট্রো ৩১ রানে বরিশালকে হারায়।